মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ইরানের মিসাইল হামলা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারী ২০২০ ০৭:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৭ বার।

ইরাকে দুটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ১২টির বেশি ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর।

পেন্টাগনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইরবিল ও আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা হয়েছে। ইরান থেকেই মিসাইলগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনেও হামলা কথা স্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দেশটির শীর্ষ জেনারেল কাশেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যার জবাব হিসেবে এই হামলা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ও সহযোগীদের সকল কর্মীকে রক্ষায় দরকারি সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে এই মিসাইল হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলেছেন, “ইরাকের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার খবরের ব্যাপারে আমরা সচেতন রয়েছি। প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে অবহিত হয়েছেন এবং তিনি গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ও জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন।”

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড জানিয়েছে, সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডের বদলা হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

ইরনা নিউজ এজেন্সিতে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমেরিকার সব সহযোগীদের আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি, যারা তাদের ঘাঁটিগুলোকে এই সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে দিয়েছে, যেখান থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হবে, সেটাই লক্ষ্যবস্তু করা হবে।”

গত শুক্রবার ভোরে ইরাকে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন মেজর জেনারেল সোলেইমানি। তিনি ইরানি সেনাবাহিনী ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন।

ইসরায়েলি হামলা ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে হামাসকে সহায়তা দিত সোলেইমানির কুদস বাহিনী। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মার্কিন শক্তি ও ইসরায়েলের আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন এই ইরানি জেনারেল। এ ছাড়া সিরিয়া যুদ্ধে আসাদ সরকারকে সহায়তা ও আইএস নিধনে ভূমিকা রাখেন তিনি।

ওই হামলায় সোলেইমানিসহ নিহত হন অন্তত ১০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়।