নওগাঁয় ধর্ষণের সুষ্ঠ বিচার চায় ধর্ষিতার পরিবার :আত্মহত্যার চেষ্টা

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারী ২০২০ ১০:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৪ বার।

নওগাঁ সদর উপজেলার শেষ সমীনা চকবুলাকী গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষনের ঘটনায় সুষ্ট বিচার চায় ধর্ষিতার দিনমজুর পরিবার। এদিকে দফায় দফায় বৈঠক করেও বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় গলা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলো ধর্ষিতা । এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়ার পরেও গত তিন দিনে আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ওই ছাত্রী লোক লজ্জায় স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। 


ধর্ষিতার বাবা দিনমজুর বলেন আমার মেয়ে ১০শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে একই গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে ইমরান হোসেন ইমন(২২) আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। গত ০৩জানুয়ারী রাতে ইমন আমার মেয়ের শয়ন ঘরে প্রবেশ করে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে আমার মা বিষয়টি দেখতে পায়। এরপর বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বৈঠকের মাধ্যমে মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ের দিয়ে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করলেও ছেলের পরিবার তা অর্থের মাধ্যমে সমাধান করতে চায়। কিন্তু অর্থ নয় বিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি আমার মেয়েসহ আমরা সমাধান করতে চাইলে ছেলের পক্ষ তা মানতে চায় না। এভাবে বৈঠকের নামে তারা সময় পার করলে গত মঙ্গলবার রাতে ইমনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে লোকলজ্জা থেকে মুক্তি পেতে আমার মেয়ে গত বৃহস্পতিবার সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে মেয়েকে পাশের রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর সে সুস্থ্য হলেও মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। বর্তমানে লোকলজ্জায় মেয়েটি এখন স্কুলে যাওয়ায় বন্ধ কওে দিয়েছে। আসামী পরিবার প্রভাবশালী ও অর্থশালী হওয়ার কারণে আমরা সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছি। পাশাপাশি এই ঘটনার সুষ্ট বিচার দাবি করছি।

  
চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান বেদারুল ইসলাম মুকুল বলেন আমি ঘটনার জানার পর একাধিক বৈঠকে বিয়ের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় ভুক্তভুগি পরিবারকে আইনের আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করি।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরায়ার্দী হোসেন বলেন অভিযোগ পাওয়ার পর মেয়ের জবানবন্দি নিয়েছি। এছাড়াও ডাক্তারী প্রতিবেদন অচিরেই হাতে পাওয়া যাবে। আর ঘটনার পর থেকে আসামী ইমন পলাতক থাকায় তাকে এখনোও আটক করা সম্ভব হয় নাই। আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।