ধর্ষক মজনু ৭ দিনের রিমান্ডে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারী ২০২০ ১১:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৭ বার।

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের মামলার আসামি মো. মজনুর সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারাফুজ্জামান আনছারী আসামির রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে ভিকটিম পৌঁছালে আসামি পেছনের দিক থেকে তাকে গলা চেপে ধরে। তাকে ফুটপাতের মাটিতে ফেলে দেয়। ভিকটিম চিৎকার করতে গেলে আসামি তাকে কিলঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখায়। এতে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন আসামি মজনু ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।

আবেদনে আরও বলা হয়, গত ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ডে র‌্যাব-১ আসামিকে গ্রেফতার করে। আসামির স্বীকারোক্তি মোতাবেক ভিকটিমের ব্যাগ, মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক এবং আসামির ব্যবহৃত একটি জিন্সের প্যান্ট ও একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়। এরপর র‌্যাব আসামিকে ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। আসামি একজন অভ্যাসগত ধর্ষণকারী। আসামি প্রতিবন্ধী, পাগল, ভ্রাম্যমাণ নারীর সম্মতি ব্যতীত এ অনৈতিক কাজ করে আসছে।

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, আসামির কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহসহ অন্য কোনো ব্যক্তি জড়িত আছে কিনা- তা জানা এবং আসামির দেয়া তথ্য যাচাইয়ের জন্য রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবদুল্লাহ আবু, হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আসামির রিমান্ডের শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, ঢাবি ছাত্রীকে একা পেয়ে আসামি তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা- তা জানার জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ একান্ত জরুরি। অপরদিকে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত আসামির রিমান্ডের ওই আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৬ জানুয়ারি ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করেন।