জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী আটক

বগুড়ায় নিখোঁজের তিনদিন পর নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারী ২০২০ ১১:৫৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩২৩ বার।

বগুড়ার শেরপুরে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর বাঙালি নদী থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০৯জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর এলাকায় বাঙালি নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের জালে লাশটি উঠে আসে। নিহত ওই যুবকের নাম মো. শহিদুল ইসলাম (৩৫)। তিনি উপজেলার সুত্রাপুর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে।

শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় লোকজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া উক্ত ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী সালমা বেগমকে (২৮) আটক করা হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে নিহতের স্বজন আলমাছ হোসেন ও রমজান আলী জানান, গত মঙ্গলবার (০৭জানুয়ারি) সন্ধ্যারাতে শহিদুল ইসলাম বাড়ির পাশে বাঙালি নদীর ঘাট থেকে পানি আনতে যায়। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার তার লাশ পাওয়া গেল। তাদের ধারণা, শহিদুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর তার লাশ গুম করতেই নদীতে পুতে রাখা হয়। আর এই ঘটনার পেছনে স্ত্রী সালমা বেগমের হাত রয়েছে।

তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার যুবক শাহীন মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই নিহতের স্ত্রী সালমা বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছিল। একপর্যায়ে ঘটনাটি জানতে পেরে মাস দুয়েক আগে স্ত্রী সালমাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান শাহীন। পরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়ে যাওয়ার পর আবারও এলাকায় এসে সংসার শুরু করেন তারা। এই দম্পতির সংসার জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তবে পরকিয়ার জেরধরেই শহিদুলকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে পারেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির এ প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। পরকীয়ারসহ নানা বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হবে বলেও দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।