বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারী ২০২০ ০২:৩৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৬ বার।

১৯৭২ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি পাকিস্তানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তি লাভ করে তার স্বপ্নের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

আজ স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ব্রিটেন-ভারত হয়ে ঊনিশশ বায়াত্তরের এই দিনে রক্তস্নাত বাংলার মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধু। মহানায়কের ফিরে আসার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায় স্বাধীনতাসংগ্রামের বিজয়। স্বদেশ প্রত্যার্তন দিবস উপলক্ষ্যে সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলার স্বাধীনতাকামী জনতাকে স্তব্ধ করে দিতে একাত্তরের পঁচিশে মার্চ ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। সে রাতেই ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরের বাসভবন থেকে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে দখলদারেরা। তবে গ্রেপ্তারের আগেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দিক-নির্দেশনা দিয়ে যান শেখ মুজিবুর রহমান।

নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন জলাঞ্জলি দেন ত্রিশ লাখ মানুষ। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ষোলোই ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে বাঙালি। শত্রুমুক্ত হয় বাংলাদেশ। চূড়ান্ত বিজয় অর্জন হলেও স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক তখনও পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। ফাঁসির আসামি তিনি।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শেখ মুজিবকে বায়াত্তরের আটই জানুয়ারি মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। পাকিস্তান কারাগারের ফাঁসির মঞ্চ থেকে লন্ডন, দিল্লি হয়ে স্বদেশে ফিরে এদিন প্রথম স্বাধীন বাংলার মাটিতে পা রাখলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এর আগে ইথারে ভেসে আসে- তার মুক্তির খবর, দেশে ফেরার বার্তা। মুহূর্তেই আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে বার্তাটি ছড়িয়ে পড়ে। চাতক পাখির মতো অপেক্ষমাণ সাত কোটি বাঙালি মেতে ওঠেন বাঁধভাঙা আনন্দে।

এরপর আসে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। বিজয় অর্জনের চব্বিশ দিন পর বায়াত্তরের দশই জানুয়ারি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটি স্পর্শ করেন জাতির পিতা। সেই মুহূর্তে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন লাখো বাঙালি। শেখ মুজিবকে একটু ছুঁয়ে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন তারা। জয় বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত বিমানবন্দরে বাংলার মানুষের ভালবাসায় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর মহাকাব্যিক ফিরে আসার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায় ষোলোই ডিসেম্বরের মহান বিজয়।

বিমানবন্দর থেকে বঙ্গবন্ধু যান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে। বাংলার মানুষের সঙ্গে পুনর্মিলনে আবেগঘন হয়ে পড়েন রাজনীতির কবি।