বগুড়ায় কাঠমিস্ত্রি হত্যাকান্ডে ২ যুবক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারী ২০২০ ১২:৫৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৩ বার।

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় কাঠ মিস্ত্রি আলম (২৫) হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে কাহালু থানা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- কাহালু উপজেলার জাঙ্গালপাড়া গ্রামের সৈয়দ আফলাকুর রহমান পিন্টুর ছেলে সৈয়দ সিহাব আহম্মেদ সম্রাট (২৫) ও মাগুড়া মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে আল-আমিন ওরফে আকাশ (২৬)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে কাঠ মিস্ত্রি আলম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ওই দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয় বলে জানানো হয়। 

গ্রেফতাররা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ০২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে তারা কাহালু উপজেলার বারমাইল নামুজা সড়কে কালাই ঘোনপাড়া কাঁচা রাস্তা সংলগ্ন একটি শ্যালো মেশিন ঘরে অবস্থান নেয়। এসময় ওই রাস্তা দিয়ে আলম ও বিপ্লব হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। আটক আসামিরা আলম ও বিপ্লবকে ছুরি দেখিয়ে তুলে নিয়ে সন্তগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলুক্ষেত সংলগ্ন বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে আটকে রেখে আলমের মোবাইল ফোন দিয়ে দুজনের বাড়িতেই ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের পরিবার থেকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আলমের বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর বিপ্লবের হাতে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘণ্টাখানেক পড়ে উভয়ের পরিবার থেকে টাকা দিতে রাজি হলে দুপচাঁচিয়া এলাকায় অমিত বসাকের দোকান থেকে বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে ১৩ হাজার টাকা গ্রহণ করে তারা।

টাকা পাওয়ার পর তারা দেখতে পায় আলম মারা গেছেন। তখন তার মরদেহ আলু ক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয় এবং বিপ্লবকে ছেড়ে দেয়। পরে তারা নাগর নদের পাড়ে এসে টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয় এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি তাদের আরেক সহযোগী গোলজারের বাড়িতে রাখে।

কাহালু থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, গত ৩ জানুয়ারি আলমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই নিহতের বাবা শিবগঞ্জ থানার নলডুবি গ্রামের লালচাঁন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা দায়ের করেন। এরপর প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।