পিইসিতে বহিষ্কারের বিধান বাতিলের প্রতিবেদন হাইকোর্টে, রুল নিষ্পত্তি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারী ২০২০ ১৪:৪৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮১ বার।

পিইসি (প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা) পরীক্ষা নীতিমালার যে ১১ নম্বর নির্দেশনার মাধ্যমে শিশুদের বহিষ্কার করা হয়েছিল, তা বাতিল হয়েছে। বুধবার হাইকোর্টে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে দেয়।

আদালতের তলবের প্রেক্ষিতে বুধবার হাইকোর্টে হাজির হন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহমেদ। তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শেখ শফিক মাহমুদ পুষ্প। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

পিইসি পরীক্ষায় বহিষ্কারের বিষয়টি আদালতের নজরে আনা আইনজীবী এ এম জামিউল হক ফয়সালও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট শফিক মাহমুদ পুষ্প আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, তাদের ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া অধিদপ্তর নীতিমালার ১১ নম্বর নির্দেশনাটি বাতিল করা হয়েছে।

সম্প্রতি পিইসি পরীক্ষায় যে সব কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের গত ১৮ ডিসেম্বর এক আদেশে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে বলেছিল হাইকোর্ট।

গত ১৯ নভেম্বর দৈনিক ‘দেশ রূপান্তর’ পত্রিকায় ‘পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেটি ২১ নভেম্বর হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী এ এম জামিউল হক ফয়সাল। শুনানি নিয়ে আদালত  স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমোটো) হয়ে রুল দেয়।

রুলে পিইসি পরীক্ষায় শিশুদের বহিষ্কার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বহিষ্কার করা পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের ‘প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নির্দেশাবলি’র ১১ নম্বর নির্দেশনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়।

দেশ রূপান্তরের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৭ নভেম্বর শুরু হওয়া প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অসাধু পন্থা অবলম্বনের অভিযোগ তুলে ১৮ নভেম্বর সোমবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে কোমলমতি ১৫ শিশু পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শিক্ষাবিদ, মনোবিজ্ঞানী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা এ ধরনের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে শিশুদের ওপর এক ধরনের মানসিক নির্যাতন বলে উল্লেখ করেন।

এরপর গত ২৫ নভেম্বর একই পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২১ নভেম্বর আদালত রুল জারির পর ২৪ নভেম্বর শেষ পরীক্ষায় খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ৫০ জন শিশু শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ছয় বিষয়ের এই পরীক্ষায় মোট ১২৭ জন শিশু শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।