অদম্য বাবা: জুতা সেলাইয়ের ফাঁকে চলছে ছেলের পাঠ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারী ২০২০ ১৩:৪৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১১ বার।

ফরিদপুরের প্রাণেশ চন্দ্র। নিজে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনা আর হয়ে ওঠেনি। পেটের তাগিদে চলে এসেছেন ব্যস্ত ঢাকায়। হাতে তুলে নিয়েছেন জুতার কালি, সেলাইয়ের সুঁই-সুতা। অন্যের চলার পথ মসৃণ করতে করতে তার চোখেও স্বপ্ন জাগে নিজের ছেলেমেয়ে যেন তার মতো কষ্ট না করে। সে জন্য ছেলেকে ভর্তি করিয়েছেন স্কুলে। অন্যের জুতা চকচকে করে তোলার পাশাপাশি নিজের ছেলের জীবনটাও উজ্জ্বল করার অদম্য ইচ্ছা তার।

প্রাণেশ মিরপুর-১৪ নম্বরে থাকেন। সেখান থেকে প্রতিদিন সকালে এক হাতে জুতার কালি ও মেরামতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, আরেক হাতে ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দীর্ঘ দিন ধরে মুচির কাজ করে আসছেন তিনি। ছেলেকে ভর্তি করিয়েছেন সেগুনবাগিচা প্রাইমারি স্কুলে। তার নাম নক্ষত্র। সে এখন পড়ছে দ্বিতীয় শ্রেণিতে। তার একটি ছোট বোন রয়েছে। সন্ধ্যা হতে হতে তারা ফিরে যান মিরপুরে। তার আগ পর্যন্ত ছেলেকে যতদূর পারেন ক্লাসের পড়া দেখিয়ে দেন।

রিসি জানান, তার ছেলেকে নিজের অবস্থায় তিনি দেখতে চান না। ছেলে যেন নিজের ও দেশ-মানুষের জন্য কিছু করতে পারে সেই স্বপ্ন তার।

বুধবার দুপুরে বাবা ও ছেলের এ ছবি মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। ছবি দেখে বাবার এমন চেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে অনেকেই আপ্লুত হয়ে উঠেন।