বাবার পাঠানো মোবাইল ফোনটাই যম হলো শিশু ইসমাইলের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারী ২০২০ ১৪:১৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৬ বার।

বাবার পাঠানো মোবাইল ফোনটাই যম হলো শিশু ইসমাইল হোসেনের (১০)। তার মোবাইলটি ছিনিয়ে নিতে নৃশংসভাবে হত্যা করে প্রতিবেশী নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৫)। হবিগঞ্জ থানার পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে গিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। খবর দেশ রুপান্তর।

হবিগঞ্জ শহরতলির তেঘরিয়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী ফারুক মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। মাসখানেক আগে ছেলের জন্য বিদেশ থেকে  মোবাইল ফোনসেট পাঠান ফারুক। মোবাইলের লোভে পড়ে প্রতিবেশী শিক্ষার্থী। সে হবিগঞ্জ জেকে অ্যান্ড এইচকে হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র।

ওই শিক্ষার্থীর উদ্ধৃতি দিয়ে গত বুধবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, এক মাসের পরিকল্পনায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে। পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, ১০ জানুয়ারি ইসমাইল হোসেনকে পোদ্দারবাড়ি এলাকায় নাটক দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় ওই ছাত্র। কিন্তু রাত ৮টায় ইসমাইল বাড়িতে ফিরে না আসায় বারবার তার (ইসমাইল) মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পান পরিবারের সদস্যরা। আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে মা শাহেনা আক্তার ওই দিন সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

১৩ জানুয়ারি সকালে সদর উপজেলার চরহামুয়া গ্রামের পাশের খোয়াই নদী থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল।

এ ব্যাপারে ইসমাইলের চাচা টেনু মিয়া বাদী হয়ে ১৪ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই দিনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই শিক্ষার্থীকে তেঘরিয়া এলাকা থেকে পুলিশ আটক করলে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। বুধবার রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

আদালতে ওই শিক্ষার্থী জানায়, পার্শ্ববর্তী বাড়ির ইসমাইলের হাতে বিদেশি মোবাইল দেখে এটির লোভে সে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ১০ জানুয়ারি বিকেলে হবিগঞ্জ শহরে পোদ্দারবাড়ি এলাকায় নাটক দেখানোর কথা বলে তাকে মোবাইল ফোনসহ ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মাথায় উপর্যুপরি আঘাতে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে মোবাইল সেটটি নিয়ে চলে যায়।