চেইন-আংটির জন্য শিশু মাহিনকে হত্যা করে মিজান

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারী ২০২০ ১৩:৪১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৮ বার।

শিশু মাহিনের গলায় ছিল রুপার চেইন আর হাতের আঙ্গুলে ছিল একটি সোনালী রংয়ের আংটি। সোনালী রংয়ের হওয়ায় ইমিটেশনের আংটিকে সোনার আংটি ভেবে সেটি আত্মসাতের কুমতলব আটে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মিজান।

সুযোগ বুঝে গত বছর ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাসার সামনে থেকে মাহিনকে ধরে পাশের ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায় মিজান। ভয়ভীতি দেখিয়ে মাহিনের গলার চেইন ও আংটি খুলে নেয়। খবর যুগান্তর অনলাইন 

এসময় মাহিন চিৎকার করতে থাকলে মিজান গলাটিপে মাহিনকে হত্যা করে। পরে লাশ মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

দুই মাস পর বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট থেকে মিজানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

শুক্রবার তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে মিজান।

গত বছরের ২৪ নভেম্বর রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ বালুর মাঠ সংলগ্ন ঝোপের মধ্যে মাটিতে পোতা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশু রবিউল ইসলাম মাহিনের লাশ।

ওই এলাকার জনৈক বাদশা মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ইসলামইল মিয়ার পুত্র মাহিন। পাশের কক্ষে পরিবার নিয়ে থাকতো মিজান।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসিকুজ্জামান জানান, ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল মিজান। প্রথম থেকেই আমরা মিজানের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম যে সেই খুনি। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এতে করে হত্যার মোটিভও জানা যায়নি। অবশেষে বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টার পর চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে মিজান জানিয়েছে, শিশু মাহিনের গলায় থাকা রুপার চেইন ও হাতের সোনার আংটির জন্য তাকে গলাটিপে হত্যা করে মিজান। পরে রুপার চেইনটি ৩০০ টাকায় বিক্রি করে দেয়। আর আংটি ছিল ইমিটেশনের (নকল)। এতে মিজান আশাহত হয়ে সেটি রাস্তায় ফেলে দেয়।