নওগাঁর ধামইরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ

নওগাঁ (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারী ২০২০ ১৩:১৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২১ বার।

নওগাঁর ধামইরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এ নির্মাণ কাজের এলাকার প্রায় ৫শত নারী, পুরুষ ও শিশুরা অংশ গ্রহণ করেন। সোমবার সকাল ৯টায় উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়নের অন্তর্গত হরিতকীডাঙ্গা-মণিপুর গ্রামের উত্তর মাথা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার নতুন রাস্তা মাটি কেটে নির্মাণ করা হয়।

রাস্তা নির্মাণ কাজে হরিতকীডাঙ্গা, মণিপুর ও কড়ইডাঙ্গা গ্রামের প্রায় ৫শত নারী, পুরুষ ও শিশুরা অংশ গ্রহণ করেন। মণিপুর গ্রামের আব্দুল মন্ডল, রামরামপুর দেওয়ানপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুস দেওয়ানসহ অনেকের দুই-তিন ফসলী জমি রাস্তা নির্মাণের জন্য দান করেন। এব্যাপারে ধামইরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.কামরুজ্জামান বলেন, মণিপুর থেকে হরিতকীডাঙ্গা বাজারের দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। এ বাজারে ইউনিয়ন পরিষদ,প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ধামইরহাট-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের মিলনস্থল। কিন্তু ওই সব এলাকার শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীকে প্রায় ৪ কিলোমিটার ঘুরে এ বাজারে আসতে হয়। তাছাড়া এলাকার কৃষকগণ এ রাস্তা ব্যবহার করে সহজে তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন। নতুন করে এ রাস্তা নির্মাণ করা গ্রামীবাসীর দির্ঘদিনের দাবী ছিল। রাস্তাটি প্রায় ৮ফুট প্রশস্ত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে জমিদাতাসহ অনেকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শেষ পরিণতি হিসেবে সফলভাবে এ রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

হরিতকীডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মণিপুর গ্রামের লামিয়া সুলতানা এবং অষ্টম শ্রেণীর রাহীম বলেন, বিদ্যালয়ে যেতে তাকে প্রায় ৪ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হতো। এখন মাত্র দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারলে বিদ্যালয়ে পৌঁছে যাবো।

একই গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক রঞ্জু বলেন, হরিতকীডাঙ্গা হাটে কৃষি পণ্য নিয়ে যেতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়। এ রাস্তা নির্মাণ হওয়ার তাদের অনেক উপকার হবে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর ধামইরহাট উপজেলা প্রকৌশলী মো.আলী হোসেন বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ। রাস্তাটি এলজিইডির আইডিভুক্ত হলে অবশ্যই এটিকে পাকা করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় বলেন, সরকারের পাশাপাশি এলাকাবাসী নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নের জন্য এগিয়ে আসলে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যাবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ রকম ভালো কাজে সকল সহযোগিতা সব সময় থাকবে।