পাকিস্তানের দল নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন আকমল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারী ২০২০ ১১:২১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬২ বার।

বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। দলে ফিরেছেন কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ডাক পেয়েছেন বেশ কয়েকজন তরুণ। এর মধ্যেও বাদ পড়েছেন কিছু পরিচিত মুখ। অনেকেই বলছেন, টাইগারদের বিপক্ষে খেলতে যাওয়া পাক দলটি হয়েছে আনকোরা।

স্বভাবতই সেই দল নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। পাকিস্তানের ক্রিকেটার নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন খোদ দেশটির উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান কামরান আকমল। এর আগেও দলে জায়গা না পাওয়ায় হতাশা-ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

আকমল পাকিস্তানের হয়ে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন ২০১৭ সালে। সেই থেকে নিয়মিত পারফরম করে গেলেও দলে সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। এবার সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। না পেয়েই মিসবাহ-উল-হকের দল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বিষোদগার করেছেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে আকমলের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। ফলে জাতীয় দলে ফেরার আশা করছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে এড়িয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানে আস্থা রেখেছেন পিসিবির প্রধান নির্বাচক ও কোচ মিসবাহ।

আকমল দাবি করেন, অযোগ্য সব ক্রিকেটারকে জোর করে জাতীয় দলে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মতো অনেক ক্রিকেটার আছে, যারা জাতীয় দলে খেলার যোগ্য। আমি তো পারফরম্যান্স ছাড়া কথা বলছি না। পিএসএল ও ঘরোয়া মিলিয়ে তিন সংস্করণেই পারফরম করে যাচ্ছি। আমি একজন উঁচুমানের পারফরমার। মিসবাহ ভাইয়ের এগুলো দেখা উচিত ছিল। উনি নিজেও অনেক কষ্ট করেছেন। অবশেষে নিজের প্রাপ্য পেয়েছেন। আমি মনে করি, নিজের প্রাপ্যটা আমারও পাওয়া উচিত।

আকমল বলেন, ফিটনেস ও তারুণ্যে নজর দিয়ে আমরা পাকিস্তানকে নিচের দিকে নামাচ্ছি। শুরুটা করেছিলেন সাবেক কোচ মিকি আর্থার। এ দুয়ের ওপর নির্ভর করে তিনি খেলোয়াড় অদল-বদলের নেশায় মেতেছিলেন। আমরা এখন আর পারফরম্যান্স ও দক্ষতা দেখি না। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেয়া হয় না। পিএসএলে এক-দুই ইনিংস দেখে টি-টোয়েন্টি দলে নেয়া হয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ডিভিশন ওয়ান না খেলেই সুযোগ পেয়ে গেল আহসান আলি। তো প্রশ্নটা এসেই যায়, কীসের ভিত্তিতে দল নির্বাচন করা হয়?

ক্রিকেটারদের ফিটনেসের চেয়ে দক্ষতায় বেশি নজর দেয়া উচিত বলে মনে করেন আকমল। তার মতে, আগে পারফরম্যান্স, দক্ষতা, পরে ফিটনেস দেখা উচিত। তিনি বলেন, দক্ষতাই ফিটনেস নিয়ে আসে। এত বছর ধরে খেলছি কখনও এর ঘাটতি ছিল না। মৌসুমের বাইরে ক্লাব ক্রিকেট খেলি। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা তো ক্লাবেও খেলে না। তাহলে ফিট হয় কীভাবে?

আগে খেলতেন ইনজামাম-উল-হক, শোয়েব আখতার, ইউনিস খান, মোহাম্মদ ইউসুফরা। খেলাকালীন ফিটনেসে প্রাধান্য দেয়া হলে তারা জাতীয় দলে সুযোগ পেতেন না বলে মন্তব্য করেন আকমল। তিনি বলেন, ইউনিস ভাই এবং মিসবাহ ভাই কয়বার ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছেন? মিকি আর্থার এসে ফিটনেস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। উদাহরণগুলো সবার সামনেই আছে। ইনজি, ইউসুফ, শোয়েব ভাই সুযোগ পেতেন না যদি ফিটনেস দেখা হতো।

তথ্যসূত্র:ব্যাটিং উইথ বিমল/পাকপ্যাশন।