না ফেরার দেশে ব্রাজিলের হলুদ জার্সির নকশাকার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:১৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৯ বার।

না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ব্রাজিল ফুটবল দলের বিখ্যাত হলুদ জার্সির নকশাকার আলদির গার্সিয়া শিলি। স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৮৩ বছর বয়সে মারা গেলেন তিনি।

শিলি একাধারে নকশাকার, সাংবাদিক ও লেখক ছিলেন। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে দেশের মাটিতে ব্রাজিলের শোচনীয় হারের পর একটি জাতীয় প্রতিযোগিতায় নিজের নকশা করা হলুদ জার্সি জমা দিয়েছিলেন তিনি।

উরুগুয়ের কাছে ওই ফাইনালে হারের আগে সাদা জার্সিতে খেলত ব্রাজিল দল। তীরে এসে তরী ডোবার যন্ত্রণা ভুলতেই ওই জার্সিকে চিরতরে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় নতুন নকশার জার্সিতে ব্রাজিল খেলবে। এজন্য ১৯৫৩ সালে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে তারা।

নতুন জার্সির নকশার ক্ষেত্রে একমাত্র শর্ত ছিল ব্রাজিলের জাতীয় পতাকার চারটি রঙ সবুজ, হলুদ, নীল ও সাদা থাকবে। এই চার রঙ দিয়ে ১০০টি ভিন্ন নকশা করেছিলেন শিলি। ব্রাজিলের দক্ষিণ প্রদেশ রিও গ্রান্দে দো সোলের একটি প্রাদেশিক সংবাদপত্রে ইলাস্ট্রেটর হিসেবে কাজ করা এই তরুণ সিদ্ধান্ত নেন, ‘সবশেষে আমার উপলব্ধি হয়েছে, জার্সি হওয়া উচিত শুধুই হলুদ রঙয়ের। এর সঙ্গে নীল শর্টস, সাদা মোজা ও সবুজ কলার খুব সুন্দর মানিয়ে নেবে।’

শিলিই শেষ পর্যন্ত জিতে নেন পুরস্কার। তার নকশা করা নতুন পোশাক প্রথমবার ব্যবহার করা হয় ১৯৫৪ সালের এক প্রীতি ম্যাচে, ওই বছরই সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপেও ওই জার্সি পরে খেলে ব্রাজিল। কিন্তু ওইবার কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় নেয় তারা। শিলির মনে জেগেছিল শঙ্কা, ‘ব্রাজিল বিদায় নেওয়ার পর আমি ভেবেছিলাম হয়তো আবার কিট বদলাতে যাচ্ছে তারা।’

না, বদলায়নি ব্রাজিলের কিট। শিলির জার্সি পরেই চার বছর পর ১৯৫৮ সালে সুইডেন বিশ্বকাপে প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল। তাতেই অমরত্ব পেয়েছিল হলুদ জার্সি।

সীমান্তে জন্ম নেওয়া এই শিলি সারাজীবন উরুগুয়ে ফুটবল দলের সমর্থক ছিলেন, এমনকি ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালেও। কাকতালীয় ব্যাপার উরুগুয়ে-ব্রাজিল ম্যাচের দিনই চিরবিদায় নিলেন এই নকশাকার। শিলির মৃত্যুর খবরে লন্ডনে প্রীতি ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হওয়ার আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন খেলোয়াড়রা। বিবিসি