নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ দিতে নারাজি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারী ২০২০ ১১:৫৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭০ বার।

ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর ওপর স্থগিতাদেশ দিল না দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আইনটির বিরুদ্ধে শতাধিক মামলার শুনানিতে গঠিত হবে সাংবিধানিক বেঞ্চ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, সিএএ-র বিরুদ্ধে ১৪৪টি মামলা নিয়ে বুধবার শুনানি চলে ভারতের শীর্ষ আদালতে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

দেশজুড়ে আন্দোলনের মধ্যে সিএএ-এর বিরুদ্ধে এসব মামলার শুনানি শুরু হয় আদালতে। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে চলে ওই শুনানি।

হাইকোর্টগুলোকে সিএএ সংক্রান্ত মামলা শোনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সিএএ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা শুনবে। আগামী পাঁচ সপ্তাহ পর গঠিত হবে ওই সাংবিধানিক বেঞ্চ।

এদিকে সিএএ-এর বিরুদ্ধে ১৪০-এর বেশি আবেদন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব চেয়েছে আদালত। এই জন্য ৪ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে বিজেপি সরকারকে।

এদিন সিএএ-এর বিরুদ্ধে আর মামলা না নেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। আসাম ও ত্রিপুরার বিষয়টিকে আলাদাভাবে দেখার জন্যও আবেদন করেন তিনি।

নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে আছে কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম, ডিএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ ও এআইএমআইএম-এর মতো দলও। আবেদনকারীদের সকলেরই দাবি, ওই আইন সংবিধান বিরোধী এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন।

প্রসঙ্গত গত বছর ১১ ডিসেম্বর লোকসভায় পাস হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল (সিএবি)। পর দিন ১২ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় পাশ হয় বিলটি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বিলটিতে সই করার পর তা আইনে পরিণত হয়। আইনটিতে বলা হয়, ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এতে মুসলিমদের সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি।

আইনটির বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের মুখোমুখি হয় ভারত। গণবিস্ফোরণে ফেটে পড়ে দেশটির সবগুলো রাজ্য। ২০ জনেরও অধিক নিহতের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ায় কয়েক হাজারে।