শোয়েব মালিকের ব্যাটে হতাশ বাংলাদেশ

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারী ২০২০ ১২:২৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৩ বার।

বাংলাদেশের দেয়া ১৪২ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানেই আউট হয়ে যান পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শফিউলের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

এরপর দলীয় ৩৫ রানে হাফিজও ফিরে গেলে টাইগার শিবিরে জয়ের স্বপ্ন জাগে। কিন্তু পাকিস্তান দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক এসে টাইগারদের সব আশা ঠাণ্ডা মাথায় লণ্ডভণ্ড করে দেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৬ ওভারে দলীয় সংগ্রহ তিন উইকেটে ১১৬ রান। ক্রিজে রয়েছেন ৩৫ বলে ৪৩ রান ও ইফতেখার আহমেদ ১১ বলে ১৬ রান। জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ২৪ বলে ২৬ রান। হাতে রয়েছে সাতটি উইকেট। মূলত শোয়েবের দায়িত্বশীল ব্যাটিংই বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলে।

এর আগে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ হাফিজকে ফেরান মোস্তাফিজ। ১২তম ওভারে অভিষেক ব্যাটসম্যান আহসান আলীকে সাজঘরে ফেরান আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে পাকিস্তানকে শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। শুরুটা সাবধানী করেন তারা। উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলেন ৫০ রান। তবে রান তোলার গতিটা ছিল মন্থর। সেটা বাড়াতে গিয়েই দলীয় ৭১ রানে রানআউটে কাটা পড়েন তামিম। ফেরার আগে ৩৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ রান করেন তিনি।

স্লো-গতিতে রান ওঠায় ব্যাটিংঅর্ডারে পরিবর্তন এনে লিটন দাসকে ওয়ানডাউনে নামানো হয়। তাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন নাঈম। তবে সতীর্থকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি লিটন। রানের চাকা দ্রুতগতিতে ঘোরাতে পারেননি তিনি। খানিক পরই রানআউটে ফিনিশি হন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।

এ পরিস্থিতিতেও খোলসবন্দি থাকেন নাঈম। তা থেকে বের হতে গিয়ে শাদাব খানের শিকারে পরিণত হন তিনি। ফেরার আগে ৪১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। পরে আফিফ হোসেনকে নিয়ে রান বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালান মাহমুদউল্লাহ। তবে ব্যর্থ হন আফিফ। অভিষিক্ত হারিস রউফের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম উইকেট হয়ে ফেরেন তিনি।

তার পর ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ঝড় তুলতে পারেননি তিনিও। শাহীন আফ্রিদির শিকার হয়ে বিদায় নেন বাঁহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ১৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। আর ৫ রান নিয়ে আনবিটেন থাকেন মোহাম্মদ মিঠুন।

দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এটি। প্রথম ধাপে এদিন থেকে শুরু হলো টি-টোয়েন্টি সিরিজ। একই ভেন্যুতে ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি গড়াবে সিরিজের বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি। সিরিজ শেষে আগামী ২৮ জানুয়ারি দেশে ফিরবে টিম বাংলাদেশ