নওগাঁয় আলুর বাম্পার ফলনঃ দাম পেয়ে খুশি কৃষক

নওগাঁ (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারী ২০২০ ১৩:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০২ বার।

নওগাঁ জেলায় চলতি বছরে আলুর ফলন ভাল হয়েছে। বর্তমানে জমি থেকে যে আলু পাওয়া যাচ্ছে তাতে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা।

এদিকে আলু বিক্রি করে দাম পেয়ে কৃষকরাও খুশি হয়েছে। আর সে কারনেই অবিরাম চলছে জমি থেকে আলু উত্তোলনের কাজ। আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার আলু বিক্রি করে কৃষকেরা লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের এ বছর নওগাঁ জেলায় মোট ২০ হাজার ৮শ ৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়ছে। এর মধ্যে উন্নত ফলনশীল উফশী জাতের ১১ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ৯ হাজার ৭শ ৪০ হেক্টর। সূত্রমতে গত শনিবার পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ১শ ৫ হেক্টর জমির আলু উত্তোলন করেছেন কৃষকরা। উল্লেখিত পরিমান জমি থেকে হেক্টর প্রতি আলু উৎপাদনের পরিমান হচ্ছে ১৮ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন। সেই হিসাব অনুযায়ী এ বছর জেলায় মোট ৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৯শ ৪৭ মেট্রিকটন আলু উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।

জেলায় উপজেলা ভিত্তিক আলু চাষের পরিমাণ হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় উফশী জাতের ৫শ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৯শ ১৫ হেক্টর সহ মোট ২ হাজার ৪শ ১৫ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় উফশী জাতের ১ হাজার ১শ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৪৫ হেক্টরসহ মোট ১ হাজার ১শ ৪৫ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় উফশী জাতের ৪শ ৬০ম হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২ হাজার হেক্টরসহ মোট ২ হাজার ৪শ ৬০ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় উফশী জাতের ১ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৫ হেক্টরসহ মোট ২ হাজার ৬শ ৫৫ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় উফশী জাতের ৫শ ২০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৮শ ৫০ হেক্টরসহ মোট ১ হাজার ৩শ ৭০ হেক্টর, পতœীতলা উপজেলায় উফশী জাতের ১ হাজার ৫শ ২০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১শ ২৫ হেক্টরসহ মোট ১ হাজার ৬শ ৪৫ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় উফশী জাতের ১ হাজার ৭শ ৭০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৬শ ২০ হেক্টরসহ মোট ২ হাজার ৩শ ৯০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় উফশী জাতের ৪শ ৯০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৭শ ২০ হেক্টরসহ মোট ১ হাজার ২শ ১০ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় উফশী জাতের ১শ ৮০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫০ হেক্টরসহ মোট ২শ ৩০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় উফশী জাতের ২ হাজার ১শ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৯শ হেক্টরসহ মোট ৪ হাজার হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় উফশী জাতের ৮শ ৬০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৫শ ১০ হেক্টরসহ মোট ১ হাজার ৩শ ৭০ম হেক্টর।

বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের কৃষক হামিদুল ইসলাম বলেন, 'তিন বিঘা জমিতে আলু চাষ করে আলু পেয়েছি সাড়ে ৩শ মন। আলু বাজার দরও ভাল। এসব আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি করে আমার লাভ হয়েছে প্রায়  প্রায় দেড় লাখ টাকা। একই কথা বলেন সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের কৃষক আনিছুর রহমান।'

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম জানান, জেলায় এবার আবহাওয়া অনুক‚ল থাকায় এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা আলু চাষ করায় আলুর বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।