সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় নামলেন চরমোনাই পীর

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারী ২০২০ ১৫:২০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৮ বার।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম।

শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত উত্তর সিটির নতুন বাজার, কুড়িল বিশ্বরোড, বিমানবন্দর, জসিমউদ্দিন, রাজলক্ষী, আজমপুর, হাউজ বিল্ডিং এলাকায় হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সমর্থনে গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেন তিনি।

এসময় দেয়া বক্তব্যে চরমোনাই পীর বলেন, ভোট মানে সাক্ষ্য দেয়া, সমর্থন করা এবং সাহায্য করা। এখন আপনি নিজের বিবেককে জিজ্ঞেস করুন, আপনি কার পক্ষে সাক্ষ্য দিবেন। আপনি কাকে সমর্থন করবেন এবং সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, নগরবাসী একজন সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত এবং আল্লাহভীরু লোককে নিজেদের নগরপিতা হিসেবে বেছে নিবে। দেশবাসী আজ পরিবর্তন চায়। আর এ পরিবর্তনের সূচনা ঢাকা থেকেই শুরু হবে, ইনশাআল্লাহ।

একইদিনে দক্ষিণে হাতপাখার পক্ষে গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি ফয়জুল করীম। হাতপাখার সমর্থনে বেলা ১১টায় ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার হোসেন প্লাজা প্রাঙ্গণে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি।

এরপর রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড ও যাত্রাবাড়ীতেও পথসভায় বক্তব্য রাখেন মুফতি ফয়জুল করীম।

এসময় তিনি বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও ক্যাসিনোমুক্ত উন্নত ঢাকা গড়তে হলে ঢাকার উভয় সিটিতে আল্লাহভীরু মেয়র নির্বাচিত করতে হবে।

তিনি বলেন, অতীতে যারাই ক্ষমতায় ছিলো তারাই সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও ক্যাসিনোর মাধ্যমে দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করেছে। নগরবাসীর সমস্যা লাঘবে ব্যর্থ হয়েছেন বার বার। যানজট, মশকনিধন ও দুষণমুক্ত নগর গড়তে পারেননি তারা। আগামী সিটি নির্বাচনে আল্লাহভীরু মেয়র নির্বাচিত করে নগরকে একটি স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে হবে।

এর আগে শুক্রবার কামরাঙ্গীরচরের ঝাউচর ও ঢাকা আলিয়া মাদরাসা মাঠ এবং জুরাইন রেল গেটে হাতপাখার সমর্থনে কয়েকটি পথসভায় অংশ নেন চরমোনাই পীর।

সিটি নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ধারাবাহিকভাবে চমক দেখাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

২০১৫ সালের নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে আব্দুর রহমান ও উত্তরে হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। ভোটগ্রহণের দিন দুপুরে ইসলামী আন্দোলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও আলহাজ্ব আব্দুর রহমান প্রায় ১৫ হাজার ও ফজলে বারী মাসউদ ১৮ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করেন।