চীনের করোনাভাইরাসের হানা ১৪ দেশে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারী ২০২০ ১৩:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১২ বার।

চীনের করোনাভাইরাস পৃথিবীব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। শনিবার পর্যন্ত ১৪টি দেশ থেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের খবর মিলেছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, শনিবার নাগাদ এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৭৫ জন। উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানসহ অন্তত ২২টি শহর লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে ১৪টি দেশে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপেও ঢুকে পড়েছে এই ভাইরাস। ফ্রান্সে তিনজন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এ ছাড়া থাইল্যান্ড, হংকং, জাপান, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল ও মিয়ানমারে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে।

যুক্তরাজ্যে ১৪ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হলেও, তাদের কাউকেই এখনো আক্রান্ত বলে ঘোষণা করা হয়নি। একইভাবে করোনাভাইরাস ভারতে হানা দিয়েছে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। হালকা সর্দি-কাশি নিয়ে চীন থেকে দেশটিতে ফেরা ১১ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানসহ ২২টি শহর অবরুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। উহানের সঙ্গে চীনের বাকি অংশের সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। স্কুল, কলেজ, দোকানপাট সবকিছুই বন্ধ। জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের না হতে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে অনেক নাগরিক খাদ্য সংকটে পড়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে এমন সময় প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, যখন দেশটির পঞ্জিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চান্দ্রবর্ষ উদ্‌যাপন শুরু করেছে চীনারা।

হাসপাতালগুলোতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা। তাদের চিকিৎসা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকও। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি ভিত্তিতে ১৩০০ শয্যাবিশিষ্ট দ্বিতীয় হাসপাতাল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে চীন। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এই হাসপাতালে তৈরির কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী বেইজিংয়ে ৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে স্বীকার করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির অধীনে থাকা হংকংয়েও। সেখানে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘মেডিকেল ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে নববর্ষের যাবতীয় অনুষ্ঠান।