বগুড়ায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেমিনারে তথ্য

প্রত্যেক উপজেলা থেকে বছরে ১ হাজার মানুষকে বিদেশে পাঠানো হবে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারী ২০২০ ০৯:৪৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৩৯ বার।

দেশের প্রত্যেক উপজেলা থেকে প্রতি বছর ১ হাজার করে যুবক বা যুবতীর বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে বগুড়ায় অনুষ্ঠিত ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা’ শীর্ষক সেমিনারে এই তথ্য জানানো হয়।

বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূখ্য আলোচক ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবুল হোসেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উজ্জল কুমার ঘোষ। প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ।

এসময় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক ও বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তাঁর নির্বাচী ইশতেহারে আগামী ৫ বছরে ১ কোটি ২৮ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃজন এবং প্রতি বছর প্রত্যেক উপজেলা থেকে ১ হাজারযুব বা যুব মহিলাকে বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেছিলেন। সেই আলোকেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বর্তমানে জাপানে দক্ষ জনশক্তি রফতানির সম্ভাবনার কথা জানিয়ে সেমিনারে বলা হয়, ২০১৯ সালে সাক্ষরিত চুক্তির আওতায় জাপান সরকার ২০২৫ সাল পর্যন্ত ১৫টি ক্যাটাগরিতে দক্ষ লোক নিয়োগ করবে। যেসব পুরুষ অথবা নারীর বয়স কেবলমাত্র ৩২ বছরের কম তারাই বিনা খরচে জাপানে কর্মংস্থানের সুযোগ পাবেন। তবে এজন্য আগ্রহীদের অবশ্যই জাপানী ভাষাগত দক্ষতা এবং সংশ্লিষ্ট কাজে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। জাপানে যেসব ট্রেডে লোক নিয়োগ করা হবে সেগুলো হলো- কেয়ার ওয়ার্কার, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন,কন্সট্রাকশন, শিপ বিল্ডিং, অটোমোবাইল মেইনটেইন্স, এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি, বিল্ডিং ক্লিনিং ম্যানেজমেন্ট, ইন্ডাস্ট্রি মেশিনারি, অ্যাকোমোডেশন, এগ্রিকালচার, ফিশারি অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার, ম্যানুফ্যাকচার অব ফুড অ্যান্ড বেভারেজ,ফুড সার্ভিস, ইলেকট্রিকাল, মেশিন পার্টস অ্যান্ড টুলিং ও প্রিকাস্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ওয়ার্কস।

সেমিনারে জানানো হয়, সারাদেশে সরকারি ৬৪টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এবং ৬টি ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিতে ওই ১৫টিসহ মোট ৫৫টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহনের সুযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি ৩৩টি টিটিসি এবং বেসরকারি আরও ১০০টি প্রতিষ্ঠানে জাপানি ভাষা শেখানো হয়। নির্ধারিত ট্রেডে প্রশিক্ষণ এবং ভাষাগত দক্ষতা অর্জনের পর জাপান সরকার প্রশিক্ষিত কর্মীদের পরীক্ষা নিবে এবং ফলাফলের ভিত্তিতে একটি প্যানেল তৈরি করবে। পরবর্তীতে উভয় সরকারের অনুমোদন ক্রমে নির্বাচিত কর্মীদের জাপানে নিয়োগ দেওয়া হবে। এজন্য কোন কর্মীকে কোন অভিবাসন ব্যয় বহন করতে হবে না। তবে ঠিক কত মানুষ জাপানে যাওয়ার সুযোগ পাবে সে ব্যাপারে ওই দেশের সরকার নির্দিষ্ট কোন চাহিদা দেয়নি বলে সেমিনারে জানানো হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে সেমিনারে বলা হয় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার মধ্যে বগুড়া থেকেই সবচেয়ে বেশি মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে পাড়ি দেন। ২০১৯ সালে রাজশাহী বিভাগে মোট যে ৩৭ হাজার ৬২০জন বিদেশে গেছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৭৪৪জন বা ২৩ দশমিক ২৪ শতাংশ মানুষই বগুড়ার বাসিন্দা।