ভিক্ষুকের কাছে রেখে যাওয়া নবজাতক বড় হবে ডিসির ঘরে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারী ২০২০ ১৪:৪৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৩ বার।

ভৈরবে ভিক্ষুকের কোলে রেখে যাওয়া নবজাতককে দত্তক নিয়েছেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। আদালতের মাধ্যমে তিনি কন্যাশিশুটির অভিভাবক হয়েছেন। 

আদালতে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারী আবেদন মঞ্জুর করে শিশুটিকে তার কাছে দত্তক দেওয়ার নির্দেশনা দেন। 

আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর রাতে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ভৈরবের ইউএনও লুবনা ফারজানা নিজ বাসভবনে নিয়ে যান। বর্তমানে শিশুটি ইউএনওর কাছে আদর-স্নেহ পাচ্ছে।

আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরবের ইউএনও লুবনা ফারজানা বলেন, 'নবজাতককে আমাদের ডিসি দত্তক নিয়েছেন। তাকে নিতে আগামী বৃহস্পতিবার তিনি আসবেন। আমরা ওই দিনই তার পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করব। এ ক'দিন আমার কাছে থাকবে ওই নবজাতক।'

গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ভৈরব বাসস্ট্যান্ডের দুর্জয় মোড়ের দক্ষিণ পাশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এলাকার ইসলাম ফার্মেসির সামনে বসা বৃদ্ধা ভিক্ষুকের কাছে কালো চাদর গায়ে জড়ানো এক তরুণী বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে দুই থেকে তিন দিন বয়সী নবজাতকটিকে রেখে যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও ওই তরুণী ফিরে না আসায় ভিক্ষুক বিষয়টি ফার্মেসির মালিক আশরাফুল আলম মুকুলকে জানান। ফার্মেসি মালিক আশরাফুল আলম মুকুল বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদের মাধ্যমে নবজাতকটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে ভর্তি করান।

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর শিশুটিকে দত্তক নিতে স্থানীয় এবং ঢাকা থেকে বেশ কয়েকজন ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ছাড়া শিশুটিকে কী করা হবে, কোথায় রাখা হবে- এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানার জন্য রোববার জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মো. মহসীন আদালতের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন। এ ছাড়া শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী আদালতে আবেদন করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর স্ত্রীর নাম সুমনা আনোয়ার। এই দম্পতির সামিহা চৌধুরী নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে।