বগুড়ার ফারুক জাপা’র কেন্দ্রীয়  সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারী ২০২০ ১০:৪৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৮ বার।

বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টি (জাপা) নেতা শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুককে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে। জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের গত ২৯ জানুয়ারি তাঁকে ওই দায়িত্ব প্রদান করেন। তাঁর এ নিয়োগের বিষয়টি জাপা’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক (বর্তমানে সমাজকল্যাণ সম্পাদক) আব্দুর রাজ্জাক বৃহস্পতিবার বিকেলে পুণ্ড্রকথাকে নিশ্চিত করেছেন। মোট ৩১জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে বগুড়ার ফারুক বিভাগীয় দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। 
আব্দুর রাজ্জাক জানান, জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত এবং গঠনতন্ত্রের ধারা ১২ এর ৩ উপধারা মোতাবেক চেয়ারম্যান জি এম কাদের ওই  দিন দলের আরও ২জন উপদেষ্টা, ১জন ভাইস চেয়ারম্যান, ১জন যুগ্ম মহাসচিব, ৩০জন সাংগঠনিক সম্পাদক, ২২জন বিভাগীয় সম্পাদক, ৩১জন যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক, ২২জন বিভাগীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক, ৯০জন নির্বাহী সদস্য ও কেন্দ্রীয় সদস্যের নাম ঘোষণা করেন।
কাহালু উপজেলার জামগ্রামের বাসিন্দা তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক প্রয়াত কফিল উদ্দিনের জেষ্ঠ্য সন্তান শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক কলেজে অধ্যয়নের সময়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ঘোষিত ১৮ দফার প্রতি উদ্বুদ্ধ হন। এরপর ১৯৮৪ সালে তিনি নতুন বাংলা ছাত্র সমাজের (পরবর্তীতে জাতীয় ছাত্র সমাজ) বগুড়া জেলা কমিটির আহবায়ক মনোনীত হন। তিনি ইতিপূর্বে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং বগুড়া জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় পার্টির যুব সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির বগুড়া জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
নানা সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক গণমাধ্যমের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন। তিনি ‘প্রত্যাশা প্রতিদিন’ নামে বগুড়া থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকের সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের ভক্ত শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমার বাবা একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন। বাবার চাকরি সূত্রে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমরা থেকেছি। তখনকার বিভিন্ন থানা (বর্তমানে উপজেলা) ও মহকুমা (বর্তমানে জেলা) এলাকায় হাতে গোন দু’একটি বাদে কোথাও কোন পাকা সড়ক ছিল না। সরকারি ভবন যে দু’একটি ছিল সেগুলোও জরাজীর্ণ। কিন্তু হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর পরই প্রতিটি প্রশাসনিক থানাকে উপজেলা এবং মহকুমাগুলোকে জেলায় রূপান্তর করলেন। এর ফলে একে একে সব সড়ক পাকা হলো, নতুন নতুন ভবন হলো, ছোট-বড় নদ-নদীর ওপর সেতু নির্মিত হলো। এভাবে গ্রামগুলো যেন শহরে পরিণত হলো। মানুষের আয় বাড়লো, জীবন-যাত্রার মানও বাড়তে শুরু করলো। চোখের সামনে এসব উন্নয়ন দেখার পর আমি এরশাদ সাহেবের ভক্ত হয়ে যাই। তখন থেকেই জাতীয় পার্টির সঙ্গে আছি। দুঃসময়েও ছিলাম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকতে চাই।’