রাজশাহীতে জামায়াত নেতার হামলায় নারী জখম

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারী ২০২০ ১৫:২৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৭ বার।

রাজশাহী মহানগরীর বসুয়া এলাকায় বাড়িতে প্রবেশ করে জামায়াতের এক নেতা এক নারীকে পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরে ওই নারীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত নারীর নাম রূপালী বেগম (৪০)। তিনি ওই এলাকার অটোরিকশাচালক বাদল আলীর স্ত্রী। খবর যুগান্তর অনলাইন

বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে রূপালী বেগমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মাহবুবুল আলম কাজল (৪৫)। তিনি একই এলাকার মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে। তিনি জামায়াত নিয়ন্ত্রিত বিসমিল্লাহ একাডেমির পরিচালক ও নগরীর ৯ নাম্বার ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর রোকন। তার বিরুদ্ধে নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রূপালী জানান, তার ছেলে অনিক পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কাজলের বিসমিল্লাহ একাডেমিতে পড়ত। এক বছর আগে তাকে ওই একাডেমি থেকে বের করে পাশের উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকেই কাজল বিভিন্নভাবে ওই পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন।

সর্বশেষ বুধবার বিকালে স্থানীয় মাঠে খেলতে গিয়ে রূপালীর ছেলে অনিকের সঙ্গে কাজলের ছেলের মারামারি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাজল রূপালীর বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় বাড়িতে তার স্বামী না থাকায় শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করে। পরে আহত অবস্থায় প্রতিবেশীরা রূপালীকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজপাড়া থানায় নিয়ে যান। সেখানে পুলিশের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন তিনি রামেক হাসপাতালের ৪০ নাম্বার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

প্রতিবেশীরা জানান, জামায়াত নেতা মাহবুবুল আলম কাজল এলাকার সবার সঙ্গেই খারাপ আচরণ করে। তার ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। এলাকায় প্রভাবশালী ও জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে কেউ তাকে কিছু বলে না। এ কারণে সে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নাশকতার মামলাও রয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রতিবেশীরা।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, হামলার শিকার নারী রাতেই থানায় এসে ঘটনা অবহিত করেছেন। তার অবস্থা ভালো না থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।