নতুন করোনা ভাইরাস শনাক্তের যন্ত্র নেই বাংলাদেশে!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারী ২০২০ ১৫:৫২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯২ বার।

নতুন করোনা ভাইরাস ( ২০১৯-এনসিওভি) শনাক্ত করা হয়েছে যে পদ্ধতিতে তাকে আরটিপিসিআর ( রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টজ পালিমারেজ চেইন রিয়্যাকশন) পদ্ধতি বলা হয়। কিন্তু এই আরটিপিসিআর পদ্ধতি আমাদের কাছে নেই এখনও। আগের করোনা ভাইরাস যেমন সার্স-মার্সসহ অন্য করোনা ভাইরাসকে ডিটেক্ট করার জন্য অন্য টেস্ট রয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এ। কিন্তু, একদম এই নতুন করোনা ভাইরাসকে ‘ডিটেক্ট’ করার মতো ‘টুলস’ আমাদের নেই বলে  জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।  খবর বাংলা ট্রিবিউন

আজ বৃহস্পতিবার ( ৩০ জুলাই) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শহীদ ডা. মিলন হলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি এর আয়োজনে নভেল করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব সংক্রান্ত জনসচেতনতামূলক এক আলোচনায় মূল প্রবন্ধে ডা. রোবেদ আমিন বলেন, লক্ষণ নিয়ে রোগীরা এলে তাদের কী কী টেস্ট করাতে হবে সেসবও জানতে হবে চিকিৎসকদের।  কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয়, বাংলাদেশে সে টেস্টগুলো এখনও নেই।

পরে তিনি বলেন, আনফরচুনেটলি নতুন এই করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার মতো প্রয়োজনীয় টেস্টগুলো বাংলাদেশে নেই, টেস্টের টুলগুলো আমরা এখনও পাইনি।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, ঢাকার সব হাসপাতালে পাঁচ শয্যার আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হবে না, আর কোনও কারণে হলেও আমরা প্রস্তুত আছি।

বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ অন্যরা।

বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সায়েন্টিফিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুদীপ রঞ্জন দেব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নতুন এই করোনা ভাইরাস নিয়ে দুটি প্রেজেন্টেশন দেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমীন ও অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম।

অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমীন বলেন, আমরা এখনও নতুন এই করোনা ভাইরাস নিয়ে অনেক কিছু জানি না। দিন যত যাবে, ততোই নতুন নতুন ইনফরমেশন নিয়ে আসতে পারে এই ভাইরাস। তবে এই নতুন ভাইরাসটি এত দ্রুত ছড়াচ্ছে যে একে ‘সুপার স্প্রেডার’ বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।