রিভিউর প্রস্তুতি খালেদা জিয়ার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারী ২০২০ ০৮:২০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৫ বার।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে জামিন আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে শিগগিরই রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হবে। ইতোমধ্যে এর প্রস্তুতি শুরু করেছি। পাশাপাশি হাইকোর্টেও খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবার আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারা মোতাবেক কোনো সাজার কার্যকারিতা শর্তহীনভাবে স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। অ্যাটর্নি জেনারেল এটিকে সরকারের বিষয় বললেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী বলছেন, এটি দুদক আইনের মামলা। এখানে সরকারের সাজা স্থগিত করার সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়া রাজি থাকলে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। গত বছরের ১৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবীরা।

৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এ আপিলের সঙ্গে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনও করা হয়। ৩০ এপ্রিল ওই আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। সেদিন বিচারিক আদালতের রায়ে দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের আদেশে স্থিতাবস্থা দেন।

পাশাপাশি খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি নথিভুক্ত করে মামলার নথি তলব করেন হাইকোর্ট। এ মামলায় হাইকোর্ট ৩১ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি খারিজ করে দিলে ১৪ নভেম্বর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী কায়সার কামাল।

উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।