ধর্ষণচেষ্টার মামলার পর গ্রাম্য সালিসে বিয়ে, লাশেই পরিণতি তরুণীর
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
ধর্ষণচেষ্টার মামলার পর এলাকাবাসীর সালিসে বিয়ে হয় তরুণীর। কিন্তু সেই বিয়ে টিকল না ছয়মাসও। ফরিদপুরের মধুখালীতে স্বামীর বাড়ি থেকে ওই তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খবর দেশ রুপান্তর অনলাইন
শুক্রবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে দুপুর সোয়া ৩টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহতের নাম আশা আক্তার (১৮)। তিনি মধুখালী উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নের মেগচামী গ্রামের অটোচালক আবু বক্কর মোল্যার মেয়ে। তারা তিন ভাইবোন। ছয় মাস আগে একই গ্রামের কৃষক টব মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়ার (২১) সঙ্গে আশার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়ি থেকে তার বাবার বাড়ির দুরত্ব আধা কিলোমিটারের মতো।
মেগচামী ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আদম মোল্লা জানান, বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আশা ও নয়নের। একরাতে নয়নের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। গ্রামবাসীর হাতে সে ধরা পড়ে। এরপর নয়নের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করে আশার পরিবার।
তিনি জানান, ওই মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গ্রাম্য সালিসে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও একখণ্ড জমি ধার্য করা হয় বিয়ের দেনমোহর বাবদ। এরপর স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন আশা। তবে তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ লেগে ছিল।
মধুখালী থানার এসআই আব্দুল আজিজ জানান, খবর পেয়ে তারা নয়ন মিয়ার ঘর থেকে আশা নামে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় এখনো মামলা হয়নি।
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না এটি হত্যা না আত্মহত্যা।