বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারী ২০২০ ১২:৫৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬১ বার।

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে বিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। খবর দেশ রুপান্তর অনলাইন।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে চীনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক জরুরি সভা শেষে শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রতিক্রিয়া জানান।

১০ পশ্চিমা দেশের দূতাবাস থেকে নিয়োগ করা ৭৪ জনকে শনিবারের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদের মধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশি, যারা বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি করেন।
ঢাকা সিটির ভোটের ক্ষেত্রে এবার দেশি কর্মীদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে আবেদন করেছে দূতাবাসগুলো। নির্বাচন কমিশন সেভাবেই তাদের জন্য পরিচয়পত্র ইস্যু করেছে। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেছেন, এধরনের নিয়োগে কোনো আইনি বাধা নেই। বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে কমিশনের আইন বা বিধি লঙ্ঘিত হয়নি। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও এমনটি করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আনফরচুনেটলি’ বিভিন্ন মিশন তাদের কর্মচারী যারা বাংলাদেশের নাগরিক তাদেরও আন্তর্জাতিক ‘অবজার্ভার’ নিয়োগ করেছে- এটা সম্পূর্ণ ‘ভায়োলেশন অব দ্য ল’। এজন্য আমরা বলেছি, মিশনগুলো ‘শুড ফলো দেওয়ার কোড অব কন্ডাক্ট’।

দেশিদের দেওয়া বিদেশি পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র অকার্যকর করা যাবে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, সেটা ইলেকশন কমিশন বলতে পারবে। ‘মিশনগুলো সুড টেইক রেসপনসিবিলিটি’। তারা যেহেতু আইন জানে। ‘দে শুড নট এলাও দেম টু ভিজিট এনি পোল সেন্টার’ (বাংলাদেশি ‘বিদেশি পর্যবেক্ষকদের’ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া তাদের উচিত হবে না)। তারা আমাদের আইন ভঙ্গ করতে পারেন না।