বিভিন্ন দূতাবাস গর্হিত কাজ করেছে: প্রধানমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৪৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭১ বার।

বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিভিন্ন দূতাবাস গর্হিত কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। খবর দেশ রুপান্তর অনলাইন

শনিবার ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিভিন্ন দূতাবাসের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, তাদের দেশে ভোট কেমন হয় এ রকম কিছু কিছু নমুনা তো আমাদের জানা আছে। তবে একটা কাজ তারা ঠিক করেনি। বিভিন্ন দূতাবাসে বাংলাদেশের অনেক নাগরিক চাকরি করেন। তাদেরকে তারা বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছেন। তাদেরকে তারা একজন বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠাতে পারেন না, সঠিক কাজ তারা করেননি।

শেখ হাসিনা বলেন, এখানে অনেক ধরনের লোক আছে আমি তাদেরকে চিনি। কারও পিতা ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে জড়িত ছিল; কেউ ছিল স্বাধীনতাবিরোধী যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা চালিয়েছে তাদের উত্তরসূরি- এ রকম বহু জন আছে। রাষ্ট্রদূতদের ওখানে তারা কাজ করে, থাকতে পারে কিন্তু তাদের নামও তারা তালিকায় দিয়েছে!

বাংলাদেশিদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়াটা নির্বাচন কমিশন কিভাবে গ্রহণ করে বলে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের আইনে স্পষ্ট দেয়াই আছে বিদেশি পর্যবেক্ষক মানে তাদের বিদেশি হতে হবে। বিদেশি না হয়ে কিভাবে নির্বাচন কমিশন তাদের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে গ্রহণ করেছে আমি জানি না।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা এ রকম গুন্ডাবাহিনী আনবে, প্রয়োজনে সন্ত্রাসী আনবে এটাতো তাদের একটা চরিত্রগত অভ্যাস। জনগণের ওপর তারা কিছুতেই আস্থা বিশ্বাস রাখতে পারে না, ডিজিটাল পদ্ধতির ওপরে তার আস্থা রাখতে পারে না। কারণ তারা জানে যে এই পদ্ধতিতে ভোট কারচুপি করা যায় না। কারচুপির সুযোগ না পেলে তারা এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে চায়। অতীতে যা করেছে তারা তা আবার করতে চায়।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, এই ধরনের পথ পরিহার করে জনগণের আস্থা অর্জনে সচেষ্ট হোন। জনগণের সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ টানা তিনবার ক্ষমতায় এসেছে সরকার ক্ষমতায় এসেছে যার ফলাফল দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে।

এ সময় ঢাকা উত্তর দক্ষিণে নৌকার প্রার্থী জয়ী হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সকাল আটটার কয়েক মিনিট আগে ভোটকেন্দ্রে আসেন প্রধানমন্ত্রী। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আটটা বাজলে তিনি তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।