জিন ছাড়ানোর নামে এক ব্যক্তিকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৫২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৯ বার।

বরিশালের বাকেরগঞ্জে কথিত ফকিরের বিরুদ্ধে চিকিৎসার অজুহাতে কালাম মৃধা (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

জিনের আছর ছাড়ানোর নামে শুক্রবার তাকে দুই দফা পানিতে চোবানো হয়। পরে তিনি মারা গেলে ওই রাতেই তার লাশ পার্শ্ববর্তী বাগানে ফেলে রাখা হয়।

এ ঘটনার পর অভিযুক্ত রিয়াজ ফকির ও তার সহযোগীরা আত্মগোপন করেছে। তবে রিয়াজের বোন অনিকা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।

নিহত কালাম মৃধা পটুয়াখালী জেলার বদরপুর ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের মৃত তুজম্বর মৃধার ছেলে।

নিহত কালামের স্ত্রী পারভীন বেগম জানান, সাম্প্রতিক সময়ে তার স্বামী অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। জিনে ধরেছে ধারণা করে জিনের আছর ছাড়াতে স্বামীকে নিয়ে শুক্রবার সকালে বাকেরগঞ্জ উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের রিয়াজ ফকিরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই দিন সকাল ১০ টায় এবং বিকেল ৪টায় রিয়াজ ফকির তার বাড়ির পুকুরে দুই দফা তার স্বামীকে চুবায় এবং লাঠি দিয়ে মারধর করে। এতে কালাম মৃধা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রিয়াজ ফকির একটি ঘরে আটকে রাখে। ওই রাতে তার স্বামীকে রিয়াজ ফকির তার বোন অনিকার বাসায় লুকিয়ে রাখে এবং তার স্ত্রীকে স্বামী সুস্থ আছে বলে জানায়।

রাতেই কালামের মৃত্যু হলে রিয়াজ ফকির বাড়ির পাশে একটি বাগানে নিয়ে তার লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে প্রতিবেশীরা বাগানে একটি লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের বরিশাল মর্গে প্রেরণ করে।

স্থানীয়রা জানান, রিয়াজ ফকির ও তার চাচাতো ভাই অসীম ফকির দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল।

বরিশালের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কালামকে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে এবং শারীরিক নির্যাতন করে হত্যার পর তার লাশ বাগানে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে কথিত ফকির রিয়াজের বিরুদ্ধে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, অভিযুক্ত রিয়াজ ফকির ও সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বোন অনিকা বেগমকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতকদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন পুলিশ সুপার।