নওগাঁয় নকল সীল বানিয়ে বাল্য বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কাজী ও বর গ্রেফতার

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪০ বার।

নওগাঁয় নকল সীল তৈরি করে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ কাজী মোবারক আলী ও বর মোঃ আসাদুল ইসলাম(২২) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে সাপাহার উপজেলা সদর থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক কাজী মোবারক আলী উপজেলার কোচকুড়লীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্মের শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক  এবং উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাজী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এছাড়া বর আসাদুল উপজেলার কুলাডাংঙ্গা গ্রামের আফসার আলীর ছেলে।


জানা গেছে গত ৬ জানুয়ারী পোরশা উপজেলার নিতপুর শহীদ পিংকু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মঞ্জিলা খাতুন (১৩) বিদ্যালয়ে  যাওয়ার পথে আসাদুল ইসলাম,তার বন্ধু ও আত্মীয়রা মিলে ইজিবাইক যোগে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে। অপহৃতার দাদা ইব্রাহিম হোসেন বাদি হয়ে আসাদুল, নাজমা ওরফে নাজু,আলমগীর হোসেন,আমানউল্লাহ ও পারভীন নামে ৫ জনের বিরুদ্ধে পোরশা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দাযের করেন।


মামলা তদন্তকারী অফিসার পোরশা থানার এসআই  শাহীন চৌধুরীর প্রযুক্তীর সহায়তা মঞ্জিলাকে চট্রগাম থেকে উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে আসাদুলকে গ্রেফতার করে। আসাদুলকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের স্বীকার করে বলে সাপাহার উপজেলা সদর ইউনিয়নের কাজী মোবারক আলী,কাজী হাসান আলী,ঢাকার মিরপুরের ঠিকানা দিয়ে তাদের বিয়ে রেজিষ্ট্রী করে।


কাজী মোবারক আলী দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে রেজিষ্ট্রী ও  ভূয়া সীল বানিয়ে বাল্যদিয়ে আসছিল। বরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ গত শনিবার রাতে কাজী মোবারক আলীকে আটক করে । আটকের পর ওই কাজী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন ওই বাল্য বিযে আমি দেই নাই। তারা কোথায় বিয়ে করেছে জানিনা। এরপর সাপাহার সার্কেল অফিসে কাজী  মোবারক আলী ও বর আসাদুলকে মুখোমুখি করলে মোবারক আলী তার দুঃস্কর্মের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে।


পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শাহিনুর ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান-ভূয়া সীল তৈরী করে বাল্যবিয়ে দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের পূর্বক কাজী মোবারক আলী ও বর আসাদুল ইসলামকে রোববার নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।