তামিমের রেকর্ডের দিনে চার ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৩ বার।

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) চলতি অষ্টম রাউন্ডে চলছে সেঞ্চুরির বন্যা। লিগের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল। দেশের হয়ে ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৩৩৪ রানের রেকর্ড গড়েছেন দেশসেরা এ ওপেনার।

এর আগে ২০০৭ সালে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন রকিবুল হাসান। জাতীয় দলের হয়ে ৯টি টেস্ট, ৫৫টি ওয়ানডে আর ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা এ তারকা ব্যাটসম্যান ২০১১ সালের নভেম্বরের পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন।

তারও আগে ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ৩০৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তারিকুজ্জামান মুনীর। বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আগে মুনীর ট্রিপল সেঞ্চুরি করায় স্বীকৃতির তালিকায় তার নাম নেই।

পূর্বাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল

বিসিএলের চলমান রাউন্ডে শুক্রবার প্রথম দিনে সেঞ্চুরি করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের তারকা ব্যাটসম্যান ফজলে মাহমুদ। তিনি উত্তরাঞ্চের বিপক্ষে ১২৫ রান করেন।

শনিবার দ্বিতীয় দিনে ডাবল সেঞ্চুরি করেন পূর্বাঞ্চলের ওপেনার তামিম ইকবাল, সেঞ্চুরি করেন সবশেষ ভারত সফর এবং ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট দলের নেতৃত্বে থাকা মুমিনুল হক সৌরভ।

রোববার বিসিএলের তৃতীয় দিনে মিরপুর শেরেবাংলায় ইতিহাস গড়েছেন তামিম ইকবাল। আগের দিনের করা ২২২ রান নিয়ে ফের ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের শেষ সেশন তথা চা বিরতির ঠিক আগ পর্যন্ত ব্যাট করে ইতিহাস গড়েন তামিম।

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৩৩৪ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। পূর্বাঞ্চলের এ ওপেনার ৪২৬ বলে ৪২টি চার ও তিন ছক্কায় ৩৩৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার ট্রিপল সেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে ৫৫৫ রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করে পূর্বাঞ্চল।

প্রথম ইনিংসে ২১৩ রানে অলআউট হওয়া মধ্যাঞ্চল, দ্বিতীয় ইনিংসে রোববার তৃতীয় দিনের শেষ বিকাল পর্যন্ত খেলে ৩ উইকেটে ১১৫ রান সংগ্রহ করে। এখনও ২২৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দলটি।

উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রোববার তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরি করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের তিন তারকা ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফীস, শামসুর রহমান শুভ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের তিন সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩৯৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১১ রান করেন মুমিনুল হক। জাতীয় দলের এ টেস্ট অধিনায়ক ২৫১ বল খেলে ১২টি চারের সাহায্যে এ রান করেন।

২২২ বলে ১১টি চারের সাহায্যে ১০৯ রান করে অপরাজিত শামসুর রহমান শুভ, টি-টোয়েন্টির আদলে ব্যাটিং করে ৭০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি ৭০ বলে ৮টি চার ও ৫টি ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস।

প্রথম ইনিংসে ২০৭ রানে অলআউট হওয়া উত্তরাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৪৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিন শেষে সংগ্রহ করেছে বিনা উইকেটে ২২ রান। জয়ের জন্য আগামীকাল সোমবার শেষ দিনে আরও ৪৩২ রান করতে হেব উত্তরাঞ্চলকে। অন্যথায় পুরোদিন ব্যাট করে ড্র করতে হবে নাঈম ইসলাম, আরিফুল হক, লিটন দাসদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পূর্বাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল

মধ্যাঞ্চল-১ম ইনিংস: ২১৩/১০ (সাইফ হাসান ৫৮, তাইবু রহমান ৪৬; তাইজুল ৫/৫৮)। এবং ২য় ইনিংস: ১১৫/৩ (নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৪, সাইফ হাসান ৩৩, রকিবুল হাসান ১৬*)।

পূর্বাঞ্চল-১ম ইনিংস: ৫৫৫/৩ (তামিম ৩৩৪*, মুমিনুল ১১১, ইয়াসির আলী ৬২, পিনাক ঘোষ ২৬)।

উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল

দক্ষিণাঞ্চল-১ম ইনিংস: ২৬২/১০ (ফজলে মাহমুদ ১২৫; সুমন খান ৩/৬৭)। এবং ২য় ইনিংস: ৩৯৮/ ৩ (শাহরিয়ার নাফীস ১১১, শামসুর রহমান ১০৯, মাহমুদউল্লাহ ১০০*)।

উত্তরাঞ্চল-১ম ইনিংস: ২০৭/১০ (আরিফুল ৫৮, রনি তালুকদার ৫৫; শফিউল ৬/৪০)। এবং ২য় ইনিংস: ২২/০ (মিজানুর রহমান ১৫*, রনি তালুকদার ৭*)।