পাবনায় অজ্ঞাত রোগে ২ বোনের মৃত্যু, ২ নারী হাসপাতালে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:১২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৬ বার।

পাবনার ফরিদপুরে অজ্ঞাত রোগে সাথী খাতুন (১৩) ও বিথী খাতুন (১১) নামে ২ বোনের মৃত্যু হয়েছে। খবর যুগান্তর অনলাইন।

এদের মধ্যে গত শুক্রবার রাতে সাথী নিজ বাড়িতে এবং শনিবার সকালে বিথি পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

তাদের মৃত্যুর বিষয়ে পরিবার বা চিকিৎসক সঠিক কোনো কারণ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।

মৃত সাথী ও বিথি ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের শহীদুল প্রামাণিকের মেয়ে। এদের মধ্যে সাথী খাতুন হাদল সিনিয়র মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং বিথি খাতুন গোয়ালগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

শহিদুল প্রামাণিক জানান, ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে তার বড় মেয়ে সাথী খাতুন ও ছোট মেয়ে বিথি খাতুন হঠাৎ বমি করতে থাকে। ১০-১২ বার বমি করার পর ৩১ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তোফাজ্জল হোসেনকে ডাকা হলে, তিনি রোগীদের দেখে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে বলেন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতিকালে ভোর ৪টায় সাথী খাতুন মারা যায়।

পরে বিথিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তার বলেন, তার শরীরে রক্ত কম, তাড়াতাড়ি রক্ত দিতে হবে। পরে রক্ত দেয়া হয় ও চিকিৎসা চলতে থাকে। শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিথি মারা যায়।

এ দিকে একই উপসর্গ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন একই গ্রামের প্রতিবেশী ফজলুল হকের স্ত্রী রেশমা খাতুন (৩৫) এবং রেশমার ভাবি আজম প্রামাণিকের স্ত্রী তাছলিমা খাতুন (৪০)।

তাসলিমা ও রেশমার স্বজনরা জানান, শনিবার দুপুরের দিকে সাথী ও বিথির মতো তারাও বেশ কয়েকবার বমি করতে থাকেন এবং দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের প্রথমে ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

প্রতিবেশী মনিরুল ইসলাম বলেন, সাথী-বিথির আকস্মিক মৃত্যু ও আরও দুই গৃহবধূর অসুস্থ্ হয়ে পড়ায় আমাদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। বিযয়টি ইউপি চেয়ারমানের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ আলী জানান, দুই বোনের মৃত্যু সংবাদ স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জেনেছি। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সালেহ মুহাম্মদ আলী জানান, সম্ভবত খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তারা অসুস্থ হতে পারে। আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। এখন তারা সুস্থ হয়ে উঠছে।