নেপথ্যে পরকীয়া

বগুড়ায় সেই পোড়া লাশ সেলিমের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:০২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৭৯ বার।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ফসলের মাঠ থেকে উদ্ধার আগুনে পোড়ানো মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে  নিহত সেলিম  প্রামানিক (৩২) দুপচাঁচিয়া উপজেলার খিদির পাড়া গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। সেলিম রং মিস্ত্রির কাজ করতো। 

ওই ঘটনায় সেলিমের পরকীয়া প্রেমিকা রূপালী (২৫) ও তার বাবা আবদুর রহমানকে(৫০) গ্রেফতারও করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। স্বামীর কাছে নিজেদের অন্তরঙ্গ ভিডিও পাঠিয়ে দেয়ায় প্রেমিক সেলিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে রূপালী।


গত বুধবার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কোলগ্রাম এলাকায় আগুনে পোড়ানো জবাই করা একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মরদেহের পরিচয় জানা না গেলেও পরদিন নিহতের বাবা কফির উদ্দিন মরদেহটি তার ছেলে সেলিমের বলে সনাক্ত করেন।


শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য ঘটনার বর্ণনা দেন।

তিনি জানান, একই গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসীর স্ত্রী রূপালী ও সেলিম দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমে যুক্ত। সেলিম তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে বেশ কিছুদিন ধরে বিয়ের জন্য রূপালীকে চাপ  দিতে থাকে। রূপালী এতে রাজি না হওয়ায় সেলিম তার মোবাইলে থাকা ভিডিও রূপালীর সৌদিআরব প্রবাসী স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেমিক সেলিমকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় রুপালী।


ঘটনার পর গ্রেফতার হওয়া রূপালী ও তার বাবার স্বীকারোক্তির বরাতে পুলিশ সুপার আরো জানান, সেলিমকে খুন করতে রূপালী বিয়ের কথা বলে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে কোলগ্রাম এলাকায় ডেকে নেয়। আগে থেকেই সেখানে রূপালীর বাবা আববদুর রহমান ও ৩/৪ জন অবস্থান করছিলো। রূপালী তাদের হাতে সেলিমকে তুলে দিলে তারা গলাকেটে হত্যা করে তাকে। পরিচয় লুকাতে মোবাইলফোনসহ সেলিমের মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয় তারা। হত্যার পর ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য তারা লাশের পাশে ৬টি কনডমও রেখে যায়।

পরে ৫ তারিখ সন্ধ্যায়  দাত এবং আংশিক পাঞ্জাবির অংশ দেখে  দেখে পরিচয় নিশ্চিত করেন সেলিমের বাবা 

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন জানানো হবে। এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

প্রেস কনফারেন্সে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওসি আছলাম আলী উপস্থিত ছিলেন।