হাসপাতালে পানির বদলে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মুখে দাহ্য পদার্থ!
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
ওষুধ সেবনের জন্য গর্ভবতী এক নারীর মুখে পানির বদলে দাহ্য পদার্থ (এসিড জাতীয়) ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম নিপা হালদার (২২)। শুক্রবার রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। ভুলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ঘটনার শিকার নারীর স্বামী দাবি করেছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য নিপাকে রাতেই বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর সমকাল অনলাইন।
শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম সমকালকে জানান, নিপাকে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা তেমন গুরুতর নয়। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে।
নিপার বাড়ী ঝালকাঠি জেলায়। নির্মাণ শ্রমিক স্বামীর পুলক হালদারের কর্মস্থলের কারণে তিনি স্বামীর সঙ্গে কলাপাড়া শহরের বাদুরতলা এলাকায় বাস করেন।
নিপার স্বামী পুলক হালদার জানান, অসুস্থতার কারণে নিপাকে শুক্রবার সকালে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অস্ত্রপচার শেষে সেবিকা সালমা বেগম নিপাকে ওষুধ খাওয়াতে বলেন। এসময় পানি চাওয়া হলে একজন আয়া একটি পানির বোতল এগিয়ে দেন। পাশাপাশি রাখা দুটি মাম পানির বোতলের একটিতে এসিড জাতীয় দ্রব্য রাখা ছিলো। ভুলে ওই বোতলটিই দেন আয়া।
তিনি জানান, এসিড জাতীয় দ্রব্য নিপার মুখে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বালাপোড়া শুরু হলে তিনি মুখ থেকে পানি ফেলে দেন। নিপার চিৎকারে চিকিৎসকরা ছুটে এসে তাকে দ্রুত চিকিৎসা দিয়েছেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলকের সহকর্মী আহসান হাবিব জানান, নিপা যখন তরল দাহ্য পদার্থ মুখ থেকে বাইরে ফেলেন তখন সেই পানি সেবিকা সালমার মুখেও গিয়ে পড়ে। এতে তিনিও আহত হন। তবে তার অবস্থা নিপার মত খারাপ নয়।
নিপার শাশুড়ি কানন হাওলাদার জানান, পাশাপাশি রাখা দুটি বোতলের কোনটিতে দাহ্য পদার্থ ছিল তা বোঝার কোনও উপায় ছিলনা। হাসপাতালের প্রয়োজনেই দাহ্য পদার্থ রাখা হয়েছিল বলে সেবিকা সালমা রোগীর স্বজনদের জানিয়েছেন।