খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে সরকারকে বাধ্য করবো: মির্জা ফখরুল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:১১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯২ বার।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির আন্দোলনে দলের একজন নেতাকর্মীও ঘরে বসে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটাই কথা—খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করবোই। সরকারকে বাধ্য করবো তাকে মুক্তি দিয়ে জনগণের সব অধিকার ফিরিয়ে দিতে। এটাই এখন বিএনপির একমাত্র কাজ।’ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার কারাবন্দির দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাংলা ট্রিবিউন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে, আমাদের নেতাকর্মীরাও লড়াই করছেন, সংগ্রাম করছেন। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবোই। তার মুক্তির দাবিতে আগামী শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। তিনি কিছুই খেতে পারেন না, কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ কেজি ওজন কমে গেছে।’

সরকার অর্থনীতিকে তছনছ করে দিয়ে নিচের দিকে নামিয়ে দিয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা আমরা কথা নয়, অর্থমন্ত্রীর। যিনি একদিন আগে বললেন, সব সূচকে দেশ ঊর্ধ্বগতিতে। তার পরদিন বললেন, অর্থনীতির অবস্থা ভালো না। আমার তো সন্দেহ হচ্ছে এখন তার চাকরি থাকে কিনা। এই কথা বলার পর তার চাকরি থাকার তো কথা নয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের গার্মেন্ট শিল্প ভালো নেই। দুর্নীতি বন্ধ নেই। দুর্নীতির জন্য সমানে মেগা প্রজেক্ট করেছে। দুর্নীতির জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতির জন্য ক্ষমতাসীনরা যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে। গ্রেফতার করতে হয়েছে। আমাদের গ্রেফতার করতে হয়নি।’

দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে চায় না দাবি মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের শপথ নিয়েছিল। ৭৫ সালে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল। আজকে এরই ধারাবাহিকতায় ভিন্ন পদ্ধতিতে তা করছে।’ তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দানব সরকারকে পরাজিত করতে হবে। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।’

মাত্র ১৫ শতাংশ ভোট দিয়ে জনগণের প্রতিনিধি হওয়া যায় না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৫০ শতাংশের নিচে কম ভোট পড়লে সেটা নির্বাচন বলে গণ্য করা হয় না। নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন করে জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচিত করতে হবে।’ না হলে জনগণের উত্তাল আন্দোলন থেকে সরকার মুক্তি পাবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।