৯ মাসে ডাকসু নেতাদের ৮৩ লাখ টাকা খরচ!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:০৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৯ বার।

দীর্ঘ ২৯ বছর পর ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনের পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উদ্যোগের খরচ হিসেবে তহবিল থেকে ৮৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৪ টাকা উত্তোলন করেছেন ডাকসুর প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে ডাকসু কার্যালয় ব্যবস্থাপনা খাতে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩ টাকা খরচ হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ডাকসুর চতুর্থ কার্যনির্বাহী সভা উপলক্ষে সংগঠনের প্রশাসনিক শাখা থেকে প্রকাশিত হিসাবপত্র সূত্রে এই তথ্য জানা যায়। বর্তমান কমিটির জন্য গত বছর ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বাজেট পাস হয়।

প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী, ডাকসুর ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শাকিল তহবিল থেকে ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল কবির ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৩৪ টাকা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহরিমা তানজিন ৬ লাখ ৭১ হাজার ৯০০ টাকা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী ৭ লাখ ৮২ হাজার ১২০ টাকা, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসিফ তালুকদার ১২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ছাত্র পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক শামস-ঈ-নোমান ৫৮ হাজার ৭০০ টাকা উত্তোলন করেছেন।

এছাড়াও সদস্যদের মধ্য থেকে তানভীর হাসান ৯০ হাজার, রাকিবুল হাসান ৬১ হাজার ৭০০ টাকা, রাইসা নাসের ৭৪ হাজার ৫০ টাকা, রকিবুল ইসলাম ২ লাখ ২০ হাজার, মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ৯৪ হাজার ৫শ টাকা, রফিকুল ইসলাম ৩০ হাজার, ফরিদা পারভীন ৬১ হাজার ৫শ টাকা, সাইফুল ইসলাম ১ লাখ টাকা এবং যোশীয় সাংমা তহবিল থেকে ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন।

সদস্যদের জন্য আলাদা কোনো তহবিল না থাকায় তারা সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানীর তহবিল থেকে এই টাকা উত্তোলন করেছেন।

এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের স্পন্সর থেকে ডাকসু নেতারা ৬ লাখ ৬৮৭ হাজার টাকা পেয়েছেন বলেও প্রকাশিত হিসাবপত্র উল্লেখ করা হয়।

২০১৯ সালের ৩০মে ডাকসুর পাস হওয়া বাজেটে আনুষঙ্গিক খরচ হিসেবে সহসভাপতিকে (ভিপি) ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও জিএসকে তিন খাতে ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে অভিষেক অনুষ্ঠানের খরচ হিসেবে ৩০ লাখ, সাধারণ অনুষ্ঠানের খরচ হিসেবে ১৭ লাখ এবং আনুষঙ্গিক খরচ হিসেবে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।

অন্যদিকে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদককে ১০ লাখ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদককে ১৫ লাখ, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদককে ১০ লাখ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদককে ১৫ লাখ, সাহিত্য সম্পাদককে ১৫ লাখ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদককে ১৫ লাখ, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদককে ১৩ লাখ, ক্রীড়া সম্পাদককে ২০ লাখ এবং ছাত্র পরিবহন বিষয়ক সম্পাদককে ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর বাইরে ডাকসু কার্যালয় ব্যবস্থাপনা খাতে ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল।

ডাকসুর ভিপি, জিএসসহ ৯ জন সম্পাদকের মধ্যে বাজেটটি ভাগ করে দেওয়া হয়। তবে ডাকসুর এজিএস ও ১৩ সদস্যকে কোনো বাজেট দেওয়া হয়নি। জিএসের সহায়ক হিসেবে এজিএস ও ৯ সম্পাদকের সঙ্গে আরও ১৩ সদস্যের কাজ করার কথা ছিল।