প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৩২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৫ বার।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাধ্যমিক স্তরের এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক বখাটের বিরুদ্ধে। প্রেমে প্রত্যাখাত হয়ে তানজিলুর রহমান ওরফে তানজিল (২০) নামের ওই বখাটে যুবক গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ধর্ষণ করে। তানজিল তাড়াশ উপজেলার ভাদাস গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী রফিক হালদারের ছেলে। খবর সমকাল অনলাইন 

ওই স্কুলছাত্রীকে প্রথমে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ধর্ষিতার বাবা-মা বলেন, তানজিল আমাদের মেয়েকে প্রায়ই রাস্তাঘাটে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত। তার প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর পরই স্বজনরা তানজিলকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এখন তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। তারা স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ও বিষয়টা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে। ওর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলীকে ঘটনার পরপরই বিষয়টা জানানো হলেও তিনি চুপ আছেন।

সদর হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আফরোজা খাতুন জানান, মেয়েটির একদিকে ভগ্নস্বাস্থ্যের, অন্যদিকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে যথাসাধ্য চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রঞ্জন কুমার দত্ত বলেন, মেয়ের বাবা-মায়ের উচিত থানায় অভিযোগ দিয়ে দ্রুত ডাক্তারি পরীক্ষা করানো। তা না হলে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

তাড়াশ-রায়গঞ্জ সার্কেলের জেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম রহমান বলেন, এ ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তাড়াশ থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাড়াশ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে মেয়েটির বাবা-মাকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত তারা থানায় আসেনি। শুনলাম থানা-পুলিশে অভিযোগ না দিয়ে তারা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করতে চাইছেন।