সিলেটে সেতু মেরামতে লোহার বদলে বাঁশ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৫৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩০ বার।

সিলেটে সুরমা নদীর ওপর নির্মিত তৃতীয় শাহজালাল সেতুতে এবার লোহার বদলে বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেতুর সাতটি এক্সপানশন জয়েন্টের মধ্যে তিনটির লোহার পাত যানবাহনের চাপে উঠে যাওয়ার পর তা চুরি হয়। এই এক্সপানশন জয়েন্টগুলো মেরামত করতে লোহার পাত না দিয়ে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ বাঁশ ব্যবহার করেছে। খবর সমকাল অনলাইন 

এই সেতু দিয়ে গত রোববার মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে বাঁশ ব্যবহারের ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। এরপর সোমবার সকালে সরজমিনে গিয়েও সেতুতে লোহার পাতের বদলে বাঁশ ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। ক্ষণস্থায়ী সংস্কারের অংশ হিসেবে বাঁশ ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন সওজের প্রকৌশলীরাও। 

সেতু মেরামত কাজে জড়িত সওজের শ্রমিকরা জানান, ওভারলোডেড গাড়ি চলাচলের কারণে সেতুর তিনপি এক্সপানশন জয়েন্টের লোহার পাত উঠে যায়। পাতগুলো এরপর চুরি হয়ে গেলে তার বদলে বাঁশ ব্যবহার করে সেতুর ফাঁক মেরামত করা হয়েছে। 

সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান বলেন, ক্ষণস্থায়ী হিসেবে বাঁশ দিয়ে বিটুমিন ঢেলে পিচ ঢালাই করা হয়। সওজ সিলেটের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরুল মজিদ চৌধুরী বলেন, ওভারলোডেড গাড়ির কারণে সেতুর জয়েন্টের লোহার পাতগুলো ভেঙে উঠে যায়। এরপর তা চুরিও হয়ে যায়। নতুন করে ওই পাতগুলো লাগানো সম্ভব হয়নি, তাই বাঁশ দিয়ে বিটুমিন ঢেলে পিচ করে দেওয়া হয়। কাজটি অবশ্যই ক্ষণস্থায়ী। নষ্ট হয়ে গেলে আবার ঢালাই দেওয়া হবে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জ থেকে যাত্রীবাহী কিছু বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক নগরীর ভেতরে প্রবেশ না করে তেমুখী থেকে তৃতীয় শাহজালাল সেতু হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। এমন গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে বাঁশ ব্যবহারকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' উল্লেখ করে সওজের সাবেক একজন প্রকৌশলী বলেন, সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টে বিভিন্ন কারণে স্টিল বা লোহার পাত ব্যবহার করা হয়। ভূমিকম্প, ওভারলোডেড গাড়ি বা অন্য কোনো কারণে সেতুতে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হলে তা যাতে স্প্রিং করে; তা অন্যতম কারণ। ফলে লোহা বা স্টিলের পাতের বদলে বাঁশ ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। 

এটা অনিয়মের শামিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে সময় নিয়ে নতুন বরাদ্দের মাধ্যমে সঠিক পদ্ধতিতে কাজটা করা উচিত। সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বাঁশ ব্যবহারের বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেন।