বগুড়া শজিমেকের প্রিন্সিপাল হলেন ডা: জুয়েল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:১৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৫৫২ বার।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক)  প্রিন্সিপাল হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল। এর আগে তিনি ওই কলেজে ২০১৪ সাল থেকে উপাধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপণের বরাত দিয়ে প্রফেসর ডা: জুয়েল প্রন্সিপাল হওয়ার  বিষয়টি পুণ্ড্রকথাকে নিশ্চিত করেছেন।

কলেজের একটি সূত্র জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি সদ্য বদলি হওয়া প্রিন্সিপাল প্রফেসর মোহাম্মদ আলী বদলি হলে প্রিন্সিপালের পদটি শূন্য হয়। ডা: মোহাম্মদ আলী বদলি হলে ডা: জুয়েল আবার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ডা: জুয়েলের অধ্যাপক পদে পদোন্নতি হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত থেকে পূর্নাঙ্গ প্রিন্সিপাল হলেন।

 

ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বগুড়ার মানুষের কাছে ‘ডা. জুয়েল’ হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের দাহিলা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল আজিজ সরকার এবং হাজেরা খাতুনের ৬ ছেলে-মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। তিনি শিবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে এসএসসি পাস করেন।

 

১৯৮৫ সালে তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।  ১৯৯২ সালে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।  

১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে যোগদান করেন। চাকরিরত অবস্থাতেই তিনি ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থোপেডিক্সে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তার প্রায় দুই বছর পর ২০০৯ সালের মার্চে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন। তারও ছয় বছর পর ২০১৪ সালের মার্চে তিনি ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন।

 

ডা. রেজাউল আলম জুয়েল চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি সমানতালে চিকিৎসকদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।  তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বগুড়া শাখারও সাধারণ সম্পাদক। 

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে যোগদানের পর থেকে সবাইকে নিয়ে কলেজের পড়ালেখা এবং হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন,  ‘এখন অধ্যক্ষ হিসেবে আমার দায়িত্ব আরও বেড়েছে। আমি প্রতিষ্ঠানটিকে সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাব। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা  প্রয়োজন। আশাকারি অতীতের মতই সকলের সহযোগিতা পাব।’