ফখরুল ফোন করেছিলেন, তবে লিখিত কিছু পাইনি: কাদের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:০২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৬ বার।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থতার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে টেলিফোন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। তবে এ বিষয়ে বিএনপির কোনো লিখিত বক্তব্য তিনি পাননি বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে ফোন করেছেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য তারা পাননি। তাছাড়া কী কারণে খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো ধরনের লিখিত বক্তব্য যায়নি।

‘তারা (বিএনপি) শুধু মুখে মুখেই মুক্তির কথা বলছেন, কিন্তু লিখিত কোনো আবেদন করেননি। এটি দুর্নীতির মামলা। রাজনৈতিক মামলা হলে সরকার বিবেচনা করতে পারত’-যোগ করেন কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বারবার সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি বা প্যারোলে মুক্তি চাচ্ছে, কিন্তু বিষয়টি রাজনৈতিক মামলা নয়। সরকার বিষয়টি তখনই বিবেচনা করতে পারত, যদি সেটি রাজনৈতিক হতো।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) প্যারোলের জন্য আবেদন করলে কী কী কারণে প্যারোল চান তা আবেদনে উল্লেখ করতে হবে। সেটি নিয়মের মধ্যে পড়ে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে।

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতারা রাজনীতি করছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মেডিকেল বোর্ড যে রিপোর্ট দেবে তা আদালতের কাছে পৌঁছাতে হবে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নেতারা যেভাবে বলেন, দায়িত্বরত ডাক্তাররা সেভাবে বলেন না।

‘বিএনপি এক মুখে দুই কথা বলেন। এটি দ্বিচারিতা। তারা কী চান নিজেরাই জানেন না। এ কারণে তারা রাজনীতিতে সফল হতে পারছেন না’-যোগ করেন তিনি।

খালেদা জিয়ার প্রতি সরকার মানবিক আচরণ করবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সরকার এতটা অমানবিক আচরণ করবে না।

বিএনপির পক্ষ থেকে যদি প্যারোলে মুক্তির আবেদন করা হয় আপনারা কী পদক্ষেপ নেবেন- এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যদির কথা যদি; সেটি পরে দেখা যাবে।’

তিনি বলেন, তারা যদি প্যারোলে মুক্তির আবেদন করে, আবেদনে উল্লেখ করা কারণের সঙ্গে প্যারোলে মুক্তির কারণ মিলে কিনা সেটি কর্তৃপক্ষ দেখবে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে তার কারাজীবনের দুই বছর কেটে গেছে। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত বছরের ১ এপ্রিল তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। এখনও তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার ৬ স্বজন তাকে হাসপাতালে দেখে আসেন। বেরিয়ে এসে তারা জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তারা বিদেশ নিয়ে যেতে চান। এ জন্য প্যারোলে মুক্তি দিলে তাতে তাদের আপত্তি থাকবে না। অবশ্য প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে বিএনপি নেতারা দ্বিধাবিভক্ত।