একদিন রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে মিয়ানমার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৪৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯১ বার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা থেমে যায়নি, আলোচনা চলছে। আশা করছি একদিন রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে মিয়ানমার।’ রোহিঙ্গাদের ওপর নজরদারি দুর্বল হয়ে পড়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মোটেও রোহিঙ্গাদের ওপর নজরদারি দুর্বল হয়নি। আপনারা জানেন ১১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যা টেকনাফের জনগনের তিন গুণ। তাদের নজরদারিতে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আনসারসহ সব বাহিনী কাজ করছে। রোহিঙ্গাদের ওপর নজরদারি আরও শক্তিশালী করতে ওয়াচ টাওয়ার এবং সিসিটিভি স্থাপন করা হচ্ছে। তারা যেন বের হতে না পারে সেজন্য আমাদের সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।’ 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্ট গার্ড সদর দফতরে বাহিনীটির রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।  

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রোহিঙ্গা শিবিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শিবির থেকে বেরিয়ে যাওয়া আটকাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমাদের সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে এ কাজ শুরু করেছে। মূল উদ্দেশ্য তারা যেন শিবির থেকে বের হয়ে আমাদের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে না যায়।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘শিগগিরই উপকূলীয় এলাকায় একটি সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম চালু করা হবে। এজন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোস্ট গার্ড আজ আর ঠুঁটো জগন্নাথ নেই। কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি জাহাজ, স্পিডবোট ও পেট্রল বোটের সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে আমরা কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত করেছি। কোস্টাল এরিয়া তো বটেই, চোরাচালান রোধ, অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ ও মাদক চোরাচালান বন্ধে সফলভাবে কাজ করেছে কোস্ট গার্ড।’

তিনি জানান, ‘সম্প্রতি কোস্ট গার্ডের দায়িত্বে নতুন নতুন কাজ যুক্ত করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার জন্য কোস্টগার্ড কাজ করছে। এখন কোস্ট গার্ডের রয়েছে চারটি অফ পেট্রল বোট ও ২৩টি জাহাজ। রয়েছে ৯০টি বিভিন্ন শ্রেণির বোট। রয়েছে ৫৪টি আউট পোস্ট স্টেশন।’

মানব ও মাদকপাচার, চোরাচালান রোধসহ নিরাপত্তা বিধানে কোস্ট গার্ড সফলভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ২০১৯ সালে ১৯শ’ কোটি টাকার অবৈধ দ্রব্যাদি আটক করেছে কোস্টগার্ড। বনজ সম্পদ রক্ষায় দুটি কোটি টাকা সমমূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাকারবারি মালামাল জব্দ করেছে। উপকূলীয় এলাকায় জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও ইলিশ রক্ষায় কাজ করছে।