মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের প্রত্যাশা শীর্ষক আলোচনা সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৭ বার।

মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী বর্নাঢ্যভাবে উদযাপনের জন্য গতকাল শনিবার বিকাল ৫ টায় প্রত্যাশা ২০২১ ফোরাম এর সচিবালয় লালমাটিয়াস্থ’ মোহাম্মদপুরে  এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রত্যাশা ২০২১ ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বর্তমান সরকারের রাষ্ট্রদূত জনাব, মসয়ূদ মান্নান, গ্রীন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর জনাব গোলাম সামদানী ফকির, মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহা পরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ, ফোরামের সহ সভাপতি শামসুন নাহার কোহিনূর, সদস্য সচিব রুহি দাস, সাবেক চেয়ারম্যান মহিদুল হক খান, সাবেক সদস্য সচিব আতাউর রহমান মিটন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ রুহুল আমিন টিপুসহ আরো আরো অনেকেই।
 মহিদুল হক খান এর সভাপতিত্বে আলোচনার শুরুতে ফোরামের দু’জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বদরুন নাহার এর স্বামী চলচ্চিত্র প্রযোজক জাহাঙ্গীর খান ও প্রিয়তা খন্দকার এর ছোট বোন প্রেরণা খন্দকার এর অকাল মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়।
আলোচনার শুরুতে আতাউর রহমান মিটন, প্রত্যাশা ২০২১ ফোরাম এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হোক দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে এই স্লোগান নিয়ে ২০০৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে প্রত্যাশা ২০২১ ফোরাম। সারাদেশের মানুষের মধ্যে প্রত্যাশা ও প্রেরণা সৃষ্টিতে স্বেচ্ছায় কাজ করে যাচ্ছে একদল স্বপ্নচারী মানুষ। আমরা স্বপ্ন দেখি , ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রামে-গঞ্জে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সবাই মহাসমারোহে সমবেত হবেন এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবেন। সারাদেশের ৫২ টি জেলায আমাদের সদস্য রয়েছে। ধারাবাহিকভাবে দেশের সকল জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে প্রত্যাশা ২০২১ ফোরামের একটি করে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন  কমিটি থাকবে। যারা ২০২১ সালে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন করবেন। মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সবাইকে উদাত্ত আহবান  জানান।

 মসয়ূদ মান্নান বলেন, হাতে আমাদের সময় খুব কম। তাই এখন যা করার সব গুছিয়ে করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের  জন্য আমাদেরকে একটি শক্তিশালী জাতীয় কমিটি গঠন করতে হবে। এছাড়াও প্রচার ও প্রকাশনা, ঘোষণাপত্র প্রস্তুতকারী , ফান্ড রেইজসহ আলাদা করে ৩ টি কমিটি গঠন করতে হবে। ২০২১ সালে বাংলাদেশে কী হবে সেটি একটির আউটলাইন/পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে হবে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, শিশু, কিশোর, নারী, প্রতিবন্ধী, দলিত , আদিবাসী, ক্ষুদ্র নৃতাত্তি¡ক জনগোষ্ঠী সবাইকে সম্পৃক্ত করে ২০২১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের একটি ঘোষণা পত্র প্রস্তুত করতে হবে। আমাদেরকে একটি নতুন করে ভিশন তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিক মহলকেও এই উৎসব উদযাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছেন অথচ তারা এখনো বঞ্চিত তাদেরকে সম্মানিত করতে হবে। আলোকিত মানুষদেরকে সম্মাননার মাধ্যমে সম্মানিত করতে হবে। নূন্যতম পক্ষে আমাদেরকে ২৫ হাজার সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দায়িত্ব দিতে হবে।
 

গোলাম সামদানী ফকির বলেন, প্রথমে একটি স্ট্রাটেজি একটি কমিটি গঠন করতে হবে। এতোদিন পর্যন্ত আমরা যেগুলো অর্জন করেছি সেগুলোকে এপ্রেসিয়েশন করে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য যুব সমাজকে অ্যাপ্রোচ করতে হবে।
 

সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেন, মানুষের মধ্যে একটি ভিশন সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্যগুলো নির্ধারণ করতে হবে। সবাই তিনবেলা পুষ্টিকর খাবার খেতে পাবে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত হবে এবং ধর্ম নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠিত হবে। এরকম একটি পরিবেশে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চাই।
মহিদুল হক খান বলেন, প্রত্যেকেই যে যার জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে।

রুহুল আমিন টিপু গত ৭ ফেব্রুয়ারি কালিগঞ্জ সম্মিলনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। দেশের ১৫ টি জেলা থেকে ফোরামের সদস্যবন্ধুরা ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে এসে মিলিত হয়েছিলেন, ২০২১ সালকে ঘিরে তাদের পরিকল্পনার কথাগুলো তুলে ধরেন।  

নির্বাহী সদস্য আরিফ আলম লেনিন বলেন, উৎসব উদযাপনে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।