রুবেলকে শুধু সাদা বলেই চায় টিম ম্যানেজমেন্ট

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৪ বার।

পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টেস্টের একাদশে ছিলেন রুবেল হোসেন। দীর্ঘ দিন পর সাদা পোশাকের স্কোয়াডে ফেরে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে যান। তবে এক টেস্ট পরই স্কোয়াড থেকে বাদ পড়লেন ৩০ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার।

রুবেলের এই বাদ পড়ার কারণ তাকে শুধু সাদা বল অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটেই দেখতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। রবিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দল ঘোষণার পর এই ব্যাখ্যাই দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।

পাকিস্তান সফরের দলে রুবেলের ডাক পাওয়াটা অবাক করাই ছিল। কারণ লাল বলে তার পারফরম্যান্স তেমন নজর কারা ছিল না। তখন নির্বাচকেরা বলেছিলেন, রুবেলকে নেওয়া ব্যাক আপ বলার হিসেবে। আল-আমিন চোটে পড়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে সুযোগ পান রুবেল।

ইনিংস ব্যবধানে হারা ম্যাচটায় বাংলাদেশ এক ইনিংসই বল করার সুযোগ পেয়েছিল। রুবেল ২৫.৫ ওভার বল করে ১১৩ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। ইকনোমি ছিল ৩.৩৯।

ব্যাকআপ হিসেবে হলেও দীর্ঘ দিন পর সুযোগ পেয়ে এক টেস্ট পরই রুবেলের বাদ পড়াটা ‘অবিচার’-ই বলা যেতে পারে। প্রধান নির্বাচক যার ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে, ‘রুবেলকে আমরা ব্যাকআপ বোলার হিসেবে (পাকিস্তান সফরে) নিয়েছিলাম। এরপর পাকিস্তানে আল-আমিনের ইনজুরির জন্য ম্যাচে ইন হয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যে কথা হয়েছে, তাতে ম্যানেজমেন্ট চাচ্ছে ওকে পুরোপুরি সাদা বলে মনোনিবেশ করার জন্য।’

রুবেলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন পেসার আল-আমিনও। তবে তার বাড় পড়ার কারণ চোট বলে জানান নান্নু, ‘আল-আমিন কিন্তু পাকিস্তান সিরিজের আগেই ইনজুরিতে পড়েছে। ইনজুরিটা অত গুরুতর ইনজুরি না। কিন্তু দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় বল করা ওর জন্য অসুবিধা। বিসিএলের এই ম্যাচটাও (তৃতীয় রাউন্ড) কিন্তু ও খেলতে পারেনি।...। লঙ্গার ভর্সনে যদি লম্বা সময় বল করার জন্য ফিট না থাকে, খেলোয়াড়কে নিয়ে তো ঝুঁকি নেওয়া যায় না।’

পেস বোলারদের মধ্যে রুবেল-আল-আমিন বাদ পড়েছেন। ডাক পেয়েছেন তরুণ হাসান মাহমুদ। ম্যানেজমেন্ট নতুন খেলোয়াড় দেখতে চাচ্ছে বলে হাসানকে নেওয়া বলে জানান নান্নু, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে কিন্তু পেস বোলারদের আধিক্য থাকবে না। সুতরাং ওই চিন্তা করেই কিছু নতুন খেলোয়াড়কে রাখা। ম্যানেজমেন্টও নতুন খেলোয়াড়কে দেখতে চাচ্ছে। যেমন হাসান মাহমুদ...।’

হাসান মাহমুদ পাকিস্তান সফরের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডেও সুযোগ পেয়েছিলেন। বিপিএলে দারুণ বোলিংয়ে মুগ্ধ করে জাতীয় দলে ডাক পেলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তার। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের চেয়ে তাকে অবশ্য টেস্ট বোলার হিসেবেই বেশি কার্যকর মনে করেন অনেকে।

বোলিংয়ের গতির কারণেই হাসান মাহমুদকে এবার টেস্ট দলে নেওয়ার বলে জানালেন নান্নু, ‘ওকে যখন আমরা এক বছর আগে এইচপি স্কোয়াডে নিয়েছিলাম তখনই কিন্তু প্ল্যান ছিল আমরা যত জোরে বল করতে পারে এমন কাউকে নেব। সে ক্ষেত্রে আমাদের জোরে বল করা বোলারের অভাব ছিল। যেটা ১৪০ এর কাছাকাছি ধারাবাহিক বল করতে পারে। সে হিসাবে ওর মধ্যে আমরা এই ট্যালেন্টটা দেখেছি। দুর্ভাগ্যবশত মাঝখানে সে কিছুটা লাইনচ্যুত ছিল। আবার কামব্যাক করেছে। যার কারণে সিস্টেমের মধ্যে আমরা ওকে নিয়েছি।’

এ ছাড়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলে ফিরেছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদও। বিসিএলে দুজনের পারফরম্যান্সেই সন্তুষ্ট নির্বাচকেরা।