বিসিএসে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর কেন নয়: হাইকোর্ট

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:১২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২০ বার।

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিসিএস) পরীক্ষায় প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিসিএসএ’র বয়স, যোগ্যতা ও চাকরির আবেদনের ‘বিধিমালা ২০১৪’ এর ১৪ বিধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি ৩০ বছর পার হয়ে যাওয়ায় বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত বিজিত শিকদারসহ পাঁচ শিক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন এ রিট দায়ের করেন।

রিটে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নির্ধারিত বয়স,যোগ্যতা ও চাকরির আবেদনের বিধিমালা ২০১৪ এর ১৪ বিধিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। এই বিধিতে বলা আছে— যারা সাধারণ বিসিএস ক্যাডারে পরীক্ষা দেবে, তারা ৩০ বছর পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারবে। অথচ বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজিএস) পরীক্ষায় ৩২ বছর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ওই ১৪ উপবিধি অনুসারে শিক্ষা ক্যাডারেও ৩২ বছর পর্যন্ত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন বলেন, ‘জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় প্রার্থীরা ৩০ বছর পর্যন্ত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। অথচ সাধারণ বিসিএসে অংশগ্রহণকারী ৩০ বছর পর্যন্ত সুযোগ পাবেন। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংর্ঘষিক। তাই চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে যেন সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হয়, সেজন্য রিট দায়ের করি।’

তবে গত ২৭ জানুয়ারি বিসিএসে প্রবেশের সুযোগ ৩২ বছর করার নির্দেশনা চাওয়া রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এসময় আদালত বলেন, ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা বা কমিয়ে আনা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়।’

পরে রিটকারী আইনজীবী রিট আবেদনটি আরেকটি আদালতে শুনানি করলে হাইকোর্ট এই রুল জারি করেন।