আবরার হত্যার বিচার শুরু না হওয়া ‘রহস্যজনক’: বাবা
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার শুরু না হওয়াকে ‘রহস্যজনক’ বললেন তার বাবা বরকত উল্লাহ।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে হাজির হয়ে তিনি এ মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার আবেদন করেন। খবর : ইউএনবি
এদিন এ মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। তবে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন বিচারক। কয়েকজন আসামির জামিন আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকায় আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে গেছে।
বরকত উল্লাহ বলেন, 'চার্জশিট দেয়ার তিন মাস হয়ে গেছে। এখনও মামলার বিচার শুরু না হওয়া রহস্যজনক মনে হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস থেকে আমাকে আদালতে আসতে বলা হয়েছে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আবেদন করার জন্য। এজন্য এসেছি এবং আবেদন করেছি।'
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, আবরারের বাবা আজ (সোমবার) মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার আবেদন করেছেন। আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন আছে। আশা করছি দ্রুত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. কায়সারুল ইসলাম মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। ওইদিনই মামলাটি স্থানান্তর হয়। এরপর দুই দফায় অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানো হয়।
গতবছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে পিটুনিতে মারা যান বুয়েটের আবরার ফাহাদ। পরদিন বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন। এই হত্যা মামলায় গতবছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ জোনের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
১৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। কিন্তু তাদেরকে গ্রেপ্তার করা না যাওয়ায় ৩ ডিসেম্বর তাদের সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৫ জানুয়ারির মধ্যে ক্রোকী পরোয়ানা তামিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৫ জানুয়ারি পলাতক আসামিদের হাজিরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের একদিন আগের দিন মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম নামের এক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এখন পলাতক আছেন মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এর মধ্যে মোস্তবা রাফিদের নাম এজাহারে ছিল না। মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এজাহার বহির্ভূত ছয়জন। তদন্ত চলাকালে মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।