নয় বছরের পুরোনো মামলায় ৩ জনের ফাঁসি ও ১ জনের যাবজ্জীবন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:০৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৪ বার।

দিনাজপুরে মামলার দীর্ঘ ৯ বছর পর চাঞ্চল্যকর ওয়াকিল উদ্দীন মণ্ডল হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি রায় দিয়েছেন জেলা দায়রা জজ আদালত। একই মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ১ জনকে খালাস প্রদান করেছেন বিচারক।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টায় দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (৩) মো. আনোয়ারুল হক এই রায় প্রদান করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বিরামপুর উপজেলার খয়েরবাড়ি (মির্জাপুর) গ্রামের মৃত সাহেব উদ্দীনের ছেলে মো. মোসলেম উদ্দিন (৫৫), একই এলাকার মো. জাফর উদ্দিনের ২ ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫) ও মো. মামুনুর রশিদ (৩৭)।

মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত হলেন- খয়েরবাড়ি এলাকার মো. মজিবর রহমানের ছেলে সোহেল রানা (২৫)। খালাস পাওয়া একজন হলেন- মো. মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. মেহেরুন বেগম (৩৬)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মির্জাপুরের খয়েরবাড়ি মৌজার ১টি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিহত ওয়াকিল উদ্দীন মণ্ডলের ভগ্নিপতি মনজের আলীর সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলে আসছিল। ২০১১ সালের ২৫ জুন সকাল সাড়ে ৭টায় আসামিরা ওই পুকুরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে। এ সময় ওয়াকিল আসামিদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা রামদা, কুড়াল, হাঁসুয়া ও ছোড়া দিয়ে তাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। 

এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছা. বিলকিছ বানু ২৬ জুন বিরামপুর থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে বিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রাজ্জাক মামলাটি তদন্ত করে আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন সময়ে মামলার ৫নং আসামি মো. ময়েজ উদ্দীন মারা গেলে বিচারক তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেন।

মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. আজিজুর রহমান ও আসামি পক্ষে এ্যাড. মাজহারুল ইসলাম সরকার।