মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার হিসেবে সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে কৃষিমন্ত্রীর আহ্বান

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:০৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৭ বার।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা খাদ্য উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছি কিন্তু নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাটা এখনো চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা নিরাপদ খাদ্য আইন করেছি এবং একই সাথে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করেছি। তবে কাজটি শুধুমাত্র সরকারের নয় এর জন্য সম্মিলিত প্রয়াস জরুরী। মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার হিসেবে সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে সকলে এক সঙ্গে কাজ করবেন এটাই প্রত্যাশা করি।

নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য ভ্যালু চেইন উন্নয়নে সম্মিলিত প্রয়াস শীর্ষক দুই দিনব্যাপী (২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ) জাতীয় সম্মেলন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এর সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিসেফ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক এর চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহবুব কবির, এসিআই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও  ড. এফ এইচ আনসারী। দিন শেষে অন্ষ্ঠুানে সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন কৃষি মন্ত্রণালয় এর সাবেক সচিব ও বিসেফ ফাউন্ডেশন এর সভাপতি আনোয়ার  ফারুক।

এসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, 'সরকারি বেসরকারি এবং নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য ভ্যালু চেইন উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে না। প্রত্যেকেই তার নিজের জায়গা থেকে কাজ করলে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।'

এর আগে মোট চারটি কারিগরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ‘শস্য, ফল ও সবজি’ এই বিষয়ে প্রথম কারিগরি অধিবেশনটি পরিচালনা করেন বিসেফ ফাউন্ডেশন এর সহ সভাপতি ড. সৈয়দ মনোয়ার হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি কাউন্সিল (বিএআরসি) এর পরিচালক ড. আজিজ জিলানী চৌধুরী। ‘মৎস্য’ বিষয়ে দ্বিতীয় কারিগরি অধিবেশনটি পরিচালনা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও বিসেফ ফাউন্ডেশন এর সদস্য ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় অ্যাকুয়াকালচার বিভাগ এর অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক। ‘গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগী’ বিষয়ে তৃতীয় কারিগরি অধিবেশনটি পরিচালনা করেন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ^বিদ্যালয় এর সাবেক উপাচার্য ড. নিতীশ চন্দ্র দেবনাথ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, এসিআই ফর্মলেশন লি: এর পরিচালক ড. শামসুজ্জামান। ‘উত্তম অনুশীলন’ এই বিষয়ে চতুর্থ কারিগরি অধিবেশনটি পরিচালনা করেন নর্থ সাউথ বিশ^বিদ্যালয় এর অধ্যাপক ও বিসেফ ফাউন্ডেশন এর সদস্য ড. নজরুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, পরিচালক ইস্পাহানি জনাব ফাউজিয়া ইয়াসমিন ও সীড টেকনোলজিস্ট কৃষিবিদ মো: শাহজাহান আলী।