হাঁসুয়া ও কোদাল দিয়ে কুপিয়ে মাকে হত্যা দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৪১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৭ বার।

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলায় হাঁসুয়া ও কোদাল দিয়ে নৃশংসভাবে মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- উপজেলার আংদিয়া গ্রামের আজিজুল সরদারের ছেলে জুয়েল সরদার ওরফে জুয়েল রানা (২৮)।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও জায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে আসামি জুয়েল রানা তার মা বানেরা খাতুন ওরফে বানুকে প্রথমে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় হাঁসুয়া ভেঙে গেলে পাশে থাকা কোদাল দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে নৃশংসভাবে মাকে হত্যা করে সে। খবর দেশ রুপান্তর 

এঘটনায় নিহত বানেরা খাতুনের স্বামী এবং আসামি জুয়েল রানার বাবা আজিজুল সরদার দৌলতপুর থানায় জুয়েল রানার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ০১ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের দায়ে অভিযোগ এনে চার্জশিট দেয় পুলিশ। পরে একই বছরে ১৯ জুন অভিযোগ গঠন পূর্বক সাক্ষ্য শুনানি ও বিচার কার্য শুরু করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, মাকে নির্মম ভাবে হাঁসুয়া এবং কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার মতো হৃদয়স্পর্শী ঘটনা বিজ্ঞ আদালতকেও নাড়া দিয়েছে। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১৫জন সাক্ষীর শুনানি শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় মাকে হত্যার দায়ে জুয়েল রানার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।