বগুড়া বইমেলায় স্থানীয় সাহিত্যিকদের বই প্রকাশ পাচ্ছে বেশি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:২৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৪ বার।

সোমবারের পর মঙ্গলবার সকালেও বৃষ্টি হলো কিছুটা। প্রকৃতির খেয়ালিপনায় বৃষ্টি ঝড়ে গেলেও বইমেলা ছিল সচল। দুপুরে ঠিকই ক্রেতা আর বিক্রেতাদের ছিল ব্যাস্ততা। নিজের পছন্দমত বই সংগ্রহ করা নিয়ে পাঠক এই স্টল সেই স্টল ঘুরে ঘুরে কিনেছে নিজের জন্য বই।

তবে শুরুর দিন থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত শিশুরাই ছিল বড় ক্রেতা। এদিকে বগুড়া বইমেলাকে ঘিরে নতুন বই আসতে শুরু করেছে। প্রথম দিনে একটি বই দিয়ে শুরু হলেও গতকাল হয়েছে ৪টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন। গত বছরের চেয়ে এবছর স্থানীয় লেখক, কবি ও সাহিত্যমনাদের বই প্রকাশ পাচ্ছে বেশি।

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উপলক্ষ্যে বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ১০ দিনের বইমেলায় মঙ্গলবার ৪টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বগুড়া জিলা স্কুলের সাবেক সহকারি প্রধান শিক্ষক ফজলার রহমান খন্দকারের কাব্যগ্রন্থ অট্টহাসির মোড়ক উন্মোচন করেন বগুড়া ইয়ূথ কয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল আলম টিপু।

ফজলার রহমান খন্দকার চাকুরী ও শিক্ষা জীবন কেটেছে বেশিরভাগ বগুড়ায়। গাইবান্ধার নলডাঙ্গায় জন্ম হলেও তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন বগুড়ায়। বগুড়া জিলা স্কুলেই ১২ বছর শিক্ষকতা করেছেন। তিনি সহকারি জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণের পর থেকে তিনি সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করেছেন। এদিনে প্রকাশ পায় সাহিত্যের ছোট কাগজ মতিয়ার রহমান সম্পাদিত একতারা, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ এর কাব্যগ্রন্থ অন্য মনে অন্য কোনখানে, আশরাফ আলী সরকারের কাব্যগ্রন্থ ২০৫২ সাল। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একতারা সম্পাদক মতিয়ার রহমান, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, সৈয়দ বুলান্দ আখতার, কবি সারমীন সীমা।

মঙ্গলবার নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদনী বাজারের সম্পাদক সুমনা রায়, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, নান্দনিক নাট্য দলের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান চৌধুরী। বক্তারা বলেন, বই সবসময় আলোকিত পথ দেখায়। বইপড়ার মধ্যে দিয়ে একটি জাতিে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ভাষা আন্দোলন আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছে। আর সেই প্রেরণা নিয়ে আমারা মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে পতাকা পেয়েছি। আমাদের সামনে মুজিবশত বর্ষ। মুজিবশত বর্ষেও সাংস্কৃতিক কর্মীরা তাদের কর্মসূচির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কর্মময় জীবন সাধারণ মানুষ ও তরুণদের মধ্যে তুলে ধরবে। সভাপতিত্ব করেন জোটের সহ সভাপতি গৌতম কুমার দাস। জোটের দপ্তর সম্পাদক এইচ আলিম এর সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন জোটের সহ সভাপতি মতিয়ার রহমান, আসাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী, সহ সাধারণ সম্পাদক এসএম বেলাল হোসেন, আলমগীর কবির, অর্থ সম্পাদক রবিউল আলম অশ্রু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী, প্রচার সম্পাদক লুবনা জাহান, নির্বাহী সদস্য আসাদুর রহমান খোকন, জোটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম জিয়াউল হক বাবলা, বগুড়া ইয়ূথ কয়্যারের সভাপতি লায়ন আতিকুর রহমান মিঠু, তপন কুমার রায় প্রমুখ।

২৫ ফেব্রুয়ারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে স্বপ্নচুড়া শিল্পী গোষ্ঠি, সুরের ছোঁয়া সঙ্গীত নিকেতেন, কদমতলী ঐকতান সাংস্কৃতিক সংসদ, করতোয়া নাট্য গোষ্ঠি।