কলিজার বন্ধুকে হত্যার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলাম: ডন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:১৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৩৬ বার।

বাংলা চলচ্চিত্রের সাড়াজাগানো নায়ক সালমান শাহর 'রহস্যজনক মৃত্যু'র দুই যুগ পর চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্তে ইতি টানল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাদের দাবি- হত্যা নয়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন। সোমবার মিডিয়ার সামনে পিবিআই এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর আজ সালমান শাহ হত্যার সন্দেহভাজন আসামী খল অভিনেতা ডন বলেন, ‘আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। অবশেষে কলিজার বন্ধুকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্ত হলাম। আমি সবসময়ই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। 

প্রতিবেদনে বলা হয় ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের সঙ্গে 'অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা' নিয়ে দাম্পত্য কলহের জেরসহ পাঁচ কারণে আত্মহননের পথ বেছে নেন সালমান। প্রায় ৬০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তুলে ধরে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, পিবিআই কর্তৃক তদন্তকালে ঘটনার সময় উপস্থিত ও ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪৪ সাক্ষীর জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি ঘটনাসংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করা হয়। এসব বিষয় পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, চিত্রনায়ক সালমান শাহ পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন। হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি। ফলে সালমান খুনে অভিযুক্তরা সব দায় থেকে মুক্ত হলেন।

পিবিআইয়ের এই প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করে সালমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি অভিনেতা আশরাফুল হক ডন বলেন, ২৪টা বছর বুকের ভেতর বন্ধু হত্যার মিথ্যা অপবাদ আমাকে নিয়ে ঘুরতে হয়েছে। আমার যে ক্ষতি হয়েছে তার পূরণ কিছুতেই হবে না। আমি ধৈর্য ধরে ছিলাম। সত্য কোনো দিন মিথ্যা হয় না। মিথ্যাকেও কোনো দিন জোর করে সত্যি বানানো যায় না।

এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘সালমান শাহ এ দেশের মানুষের কাছে একটি আবেগের নাম। মৃত্যুর এতগুলো বছর পেরিয়েও সে সবার কাছে জীবন্ত। আমি বহুবার ভেবেছি যদি এমন হতো মীরাকল ঘটে গেছে একটা। সালমান ফিরে এসেছে। আবার দুজন সিনেমা করতাম। এ দেশের মানুষ জানতো সালমান আমাকে কতোটা ভালোবাসে। সালমানের মৃত্যৃর পর আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেটা কেবল আমিই জানি। এটা আর কেউ উপলব্ধি করতে পারবেনা।