সম্রাট-পাপিয়াদের জন্য রাজনীতিবিদ পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে: নাসিম

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৫১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৬ বার।

সম্রাট ও পাপিয়াদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন তাদের খুঁজে বের করে আইনে সোপর্দ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম। খবর যুগান্তর অনলাইন

তিনি বলেন, সম্রাট আর পাপিয়াদের মতো দুর্নীতিবাজ দুর্বৃত্তদের কারণে আমাদের সব অর্জন মুছে যাচ্ছে। এদের জন্য নিজেকে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে। রাজনৈতিক দলের ছাত্রছায়ায় এ সব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন গড়ে উঠেছে। কে এদের জন্ম দিয়েছেন? কাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা গডফাদার হয়েছে? তাদের খুঁজে বের করতে হবে। নইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব অর্জন নষ্ট হয়ে যাবে, গণতন্ত্র বিপন্ন হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘সাংস্কৃতিক জাগরণ ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে নেতৃত্বের ভূমিকা এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমরা যখন এরশাদবিরোধী ও খালেদা জিয়াবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম তখন তো মাঠে সম্রাট-পাপিয়াদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওয়ান ইলেভেনের দুর্দিনের সময়ও তাদের দেখা মেলেনি। এখন একজন সম্রাট জাহাঙ্গীর হয়ে গেছে, একজন লাঠি হাতে ফুলন দেবি হয়েছে। এ সব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে রাজনীতিবিদদের প্রতি অশ্রদ্ধাবোধ তৈরি হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে এখন তো সবাই আওয়ামী লীগার ও বঙ্গবন্ধুপ্রেমী হয়ে গেছে। কারা সত্যিকারের আওয়ামী লীগার সেটি দেখতে হবে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সার্বিকভাবে আলোকিত হয়েছে। আমেরিকাসহ উন্নত দেশ যেখানে জঙ্গিদের ছোবলে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ জঙ্গি দমন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। শেখ হাসিনার সাহসী ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।

নাসিম বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে যদি সফল না হতো, তাহলে বাংলাদেশ আজ লাশের স্তূপে পরিণত হতো। গুলশানের জঙ্গি হামলা অত্যন্ত সুকৌশলে মোকাবিলা করা হয়েছে। তখন থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টি করা হয়েছিল। এ কারণেই জঙ্গিবাদের যে উত্থান হয়েছিল, তা স্থিমিত হয়ে গেছে। এ দেশ যেন কোনোভাবে আবার অন্ধকারে ফিরে না যায় সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও বিশিষ্ট কলামিস্ট অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশর উপাচার্য অধ্যাপক ড.আবদুল মান্নান চৌধুরী, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, সাবেক আইজিপি ও কলামিস্ট এ কে এম শহীদুল হক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সদস্য সচিব-১ অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সদস্য সচিব-২ সৌরভ জাহাঙ্গীর প্রমুখ।